বয়স কখনো থেমে থাকে না, সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে এটিও বাড়তে থাকে। এই কথাটি অবশ্য আমরা প্রত্যেকেই জানি, কিন্তু তারপরো পরবর্তি সময়ের জন্য ফেলে রাখি অনেক কাজ। করার ছিল এমন কত কাজ করা হয় না আমাদের। পরে ভাবি, ইস! তখন যদি করতাম! কারণ দায়িত্ব বেড়ে গেলে, সখ থাকলেও আর করা হয়ে ওঠে না অনেক কাজ। তাই বয়স ২০ হওয়ার আগেই জীবনকে উপভোগ করুন এবং জেনে রাখুন, কাল নয়, পর্ষু নয়। আজই সময়। কারণ এরপর আপনার দায়িত্ব যাবে বেড়ে, নিজের দিকে তাকানোর বা নিজের কাজ করার সময় থাকবে না হয়তো। ভাবছেন কী কাজ করবেন? নিজেই রইলো, দেরি না করে জেনে নিন।
নিজেকে খুজুন
অন্যের দৃষ্টিভঙ্গী কী, তারা কী করতে চায় সেসবের পেছনে সময় দেবেন না। অন্যের চোখ দিয়ে পৃথিবীকে না দেখে নিজের ভেতরে খুজে দেখুন আপনি কি চান! বড় হতে হতে আমাদের সবারই একটা দৃষ্টিভঙ্গী দাঁড়ায়। অন্যদের মতের ভীড়ে হারিয়ে যায় সেটা। আমরা অন্যের মতকেই ভাবতে শুরু করি নিজের মত। একটু থামুন, নিজেকে খুজুন।
পড়ুন
যত পারা যায় পড়ুন। যা আপনার ভাল লাগে পড়তে থাকুন। জানুন নানা রকম করে আপনার চারপাশকে। শুধু একই রকম বিষয়ে নয়, পড়ুন বিচিত্র বিষয়ে। বই পড়ুন, মানুষকে জানুন, জানুন জীবনকে।
ভ্রমণে যান
একটা বয়সের পর ভ্রমণ মানেই রিল্যাক্স, আরাম, স্ট্রেস থেকে দূরে থাকা। কিন্তু আপনি যখন এখনো পেরোয় নি কুড়ির গন্ডি তখন সদ্য তরুণ মন আপনার ভ্রমণকে নেবে চ্যালেঞ্জ হিসেবে। আপনি যত রোমাঞ্চকে উপভোগ করবেন তত আপনার মন দৃঢ় হবে, কার্যক্ষমতা বাড়বে। তাই এই বয়সটাকে নিন আবিষ্কার করার সময় হিসেবে, নতুনকে জানার সময় হিসেবে।
টিভি দেখা কমিয়ে দিন
হ্যা, টিভি দেখা আপনার চিন্তাশক্তিকে পঙ্গু করে দেয় দিনে দিনে। টিভি দেখা বন্ধ করুন, আজই।
ক্যারিয়ার
সে তো ভবিষ্যতের ভাবনা। আজকের কথা ভাবুন। আজ পড়াশোনা করছেন, রেজাল্ট ভাল করুন। কোন কিছু নিজ উদ্যোগে তৈরি করছেন, সমস্ত শ্রম দিয়ে তৈরি করুন সেটা। কালকের পথ এখানেই কখন তৈরি হয়ে যাবে আপনি হয়ত টেরও পাবেন না।
বিশ্বাস করুন
যতক্ষণ না একজন মানুষ অবিশ্বাস করার মত কোন কাজ করছে ততক্ষণ তাকে বিশ্বাস করুন। হ্যাঁ, সচেতন হন। বোকার মত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েও বিশ্বাস করে যাবেন না। কিন্তু সন্দেহপ্রবণ হবেন না।
হারতে শিখুন
হেরে যাওয়াকে সবাই মেনে নিতে পারে না। কিন্তু মেনে নেওয়া জরুরি। সব সময় আমরা জিততে পারব না। কখনো হারব আবার কখনো জিতে যাব ঠিক। জীবন কোন প্রতিযোগিতা নয়। একে জয়-পরাজয় দিয়ে মাপবেন না। বরং যাই ঘটুক সেখান থেকেই নিন ইতিবাচক অংশটুকু। সেই অভিজ্ঞতা পরে কাজে দেবে।
বিবার্তা/জাকিয়া/যুথি