শরীর এবং মনকে ভালো রাখতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যোগব্যায়াম। তাইতো প্রতিবছরই ২১জুন বিশ্ব যোগব্যায়াম দিবস পালিত হয়ে থাকে। এটি সব বয়সের মানুষের জন্য উপযোগী। তাই
সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে আটপৌঢ়ে ঘরণী, স্কুলকলেজের ছাত্রছাত্রী ও ব্যস্তসমস্ত গৃহকর্তাও আজকাল যোগব্যায়ামে মেতেছেন। যোগব্যায়ামের গুণাগুণ নিয়েও নানা উপদেশ দিতে কখনই পিছপা হন না এরা। তবে সব কথাই কি সঠিক? কতটা মিথ্যা, কতটা বা সত্য আসুন তা জেনে নেয়া যাক।
যোগব্যায়াম করতে হলে শারীরিক নমনীয়তা প্রয়োজন: এতে নমনীয়তা বাড়লেও একেবারে শুরুর দিকে আপনার শারীরিক সক্ষমতা তুঙ্গে না থাকলেও হবে। প্রথম দিকে বেশ কতগুলি সোজা পজিশনের যোগব্যায়াম করতে পারেন।
অনেকেই যোগব্যায়ামকে ধর্মের সঙ্গে জুড়ে দেন: তা একেবারেই সত্যি নয়। যোগব্যায়াম আসলে একটি জীবনদর্শন। যোগগুরুদের দাবি, ব্যক্তির আধ্যাত্মিক ও শারীরিক উন্নতি ঘটাতে এর জুড়ি মেলা ভার।
শরীরের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে যোগব্যায়াম: আসলে পাকস্থলী ও যকৃতের স্বাভাবিক কাজকর্মের ফলে দেহ থেকে প্রতিদিন টক্সিন বের হয়ে যায়। এর সঙ্গে যোগব্যায়ামের কোনও সম্পর্ক নেই।
কেবলমাত্র সকালবেলাতেই যোগব্যায়াম করা উচিত: এই তথ্যও একেবারে সঠিক নয়। সকালে ব্যায়াম করতেই পারেন। তবে, সন্ধেবেলায় যোগাসনে বসলেও ক্ষতি নেই।
অনেকেরই ভুল ধারণা রয়েছে যে, যোগব্যায়াম কেবলমাত্র মহিলাদের জন্য উপযোগী। অথচ যোগের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, অধিকাংশ যোগগুরুই পুরুষ। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই এই ব্যায়াম করতে পারেন।
হট যোগাই হলো সবচেয়ে উপকারী: এ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও কলোরাডো ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানিয়েছেন, সব ধরনের যোগব্যায়ামই উপকারী। একটি নির্দিষ্ট ধরনের যোগব্যায়ামেই সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন এ তথ্য একেবারেই ঠিক নয়।
বিবার্তা/জাকিয়া/যুথি