ঈদ শব্দের অর্থ আনন্দ বা উদযাপন। তগাই ঈদে আনন্দের সাথে দিক-বিদিক ঘুরে বেড়ানো, নতুন সাজ, নতুন স্টাইল। প্রায় সময়ই কাঙ্খিত সাজের খোজে, বিশেষ করে ঈদের সময়ে, আমরা আমাদের মসৃণ স্ট্রেইট চুলের সাজ পাল্টে বেছে নেই তরঙ্গময় কোঁকড়া চুল, কেউ হয়তো বা বেছে নেই চুলের হাইলাইট, যার কারণে আমাদের চুলের ক্ষতি হয় এবং চুলের স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যায়। তাই চলুন জেনে নিই ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্নের কিছু টিপস-
> ঈদে অনেক ঘোরাঘুরি ফলে চুলে বেশ ময়লা জমে। তাছাড়া এই গরমে ঘেমে গিয়ে মাথায় ধুলো-ময়লা জমে সৃষ্টি করে নানা সমস্যা। এছাড়া সানবার্ন তো আছেই। গরমে রোদে খুব বেশি ঘোরাঘুরি করলে চুলে সানবার্ন হয়। এতে চুল ভঙ্গুর ও অনুজ্জ্বল হয়ে যায়। তাই এই সময় চুলে চকচকে ভাব আনতে শ্যাম্পু ধোয়ার পর ১ মগ পানিতে ১টি লেবুর রস মিশিয়ে চুলটা ধুয়ে নিন। এতে চুল উজ্জল দেখাবে।
> এছাড়া ঈদের সময় অনেকেই চুল কালার করে থাকেন। চুলের এই কালার বহু দিন ধরে রাখতে সানস্ক্রিনের সাথে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। কারণ অতিরিক্ত সূর্যরশ্মি আপনার চুলের কালার দ্রুত নষ্ট করে দেয় এবং চুল হয়ে যায় রুক্ষ।
> স্ট্রেইটনার দিয়ে চুলের স্টাইলিং করে আপনার চুল শুষ্ক ও ভংগুর হয়ে যায়। এই ক্ষতি নিরাময় করতে পারে কুসুম-গরম নারিকেল তেলের ম্যাসাজ, যা চুলের গভীরে পৌছে ভিতর থেকে পুষ্টি যোগায়, স্ক্যাল্পের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে এবং এটির কন্ডিশনার স্বরূপ বৈশিষ্ট্য চুলকে কন্ডিশন করে। এর ফলে চুলের গোঁড়া ও চুল হয় আরও মজবুত।
> শুষ্ক চুলে স্টাইলিং এর প্রসাধনী ব্যবহার করে চুলকে সহজেই নিজের ইচ্ছেমত সাজিয়ে তোলার প্রলোভন এড়ানো দায়। কিন্তু বেশিরভাগ প্রসাধনীতে কেমিক্যালের ব্যবহার মাত্রাতিরিক্ত; যা সময়ের সাথে সাথে আপনার চুলের ক্ষতি বাড়িয়ে দেয়। তাই ঘরে তৈরি হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন। এছাড়া স্ট্রেইটনার ব্যবহারের পর অবশ্যই হিট স্টাইলিং লোশন বা স্প্রে ব্যবহার করবেন।
> একটু উদ্ভট মনে হতে পারে, কিন্তু ঘন ঘন চুলে শ্যাম্পু দেয়া থেকে বিরত থাকুন, কেননা স্কাল্পের প্রাকৃতিক তেল আপনার চুলের জন্য ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। তাই প্রতিদিন শ্যাম্পু করে চুলের ময়েশ্চারাইজার না হারিয়ে সপ্তাহে তিন দিনের বেশি শ্যাম্পু ব্যবহার না করাই ভালো।
বিবার্তা/জাকিয়া/যুথি