প্রতিটি পিতামাতার কাছে তাদের নিজ সন্তানেরা অনেক বেশি আদরের। সন্তানের ভালোর জন্য কতোকিছুই না করে থাকেন তারা। যদি বেশ কয়েক বছর পিছনে চলে যাই তাহলে দেখবেন সেই সময়ের পিতামাতারা এই বর্তমান যুগ হতে অনেক বেশি ভিন্ন। আসল কথা হল, খুব কঠিন। সন্তানকে ভালোবাসেন ঠিকই কিন্তু তার মধ্যেও রয়েছে অনেক বেশি কঠোরতা। সেই সময়েরই সন্তানেরা এই বর্তমান সময়ের পিতামাতা। তারা আধুনিক হলেও সন্তান লালনপালনের ব্যপারে কম বেশি অনেক পিতামাতার মধ্যেই রয়ে গেছে বেশ কিছু ভুল ধারণা। যা পিতামাতা সঠিক ভাবলেও বাস্তবে তা সঠিক নয়। এবং কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে সন্তানের প্রতি পিতামাতার ১০ টি ভুল ধারণা। চলুন তাহলে জেনে ১০ ভুল ধারণা সম্পর্কে।
১. পিতামাতা মনে করেন যে সন্তানের সামনে সব কথা বলা ভালো না, কারণ এই বিষয়টি সন্তানকে বেশি চালাক করে তোলে। কিন্তু মানুষ দেখে ও শুনেই শেখে। তাই এমন অনেক বিষয় থাকে যা সন্তানের সুবিধার্থে তাদের সামনেই আলাপ করা ভালো।
২. সন্তানদের শাসন করার জন্য তাদের অবশ্যই মারধর করা উচিৎ না হলে তারা মানুষ হয় না, এমনই ভাবেন বেশিরভাগ মা বাবা। সন্তানকে মারধর করলেই কি সন্তান মানুষ হয়? এর বিপরীতও তো হতে পারে।
৩. সমবয়সী কোন ভাইবোন, কিংবা বন্ধুদের নিয়ে তুলনা করা। বিশেষ করে পড়ালেখা নিয়েই পিতামাতারা অন্যের সাথে তুলনা করে থাকেন।
৪. সন্তানের মনে কি চলছে তা কখনোই বুঝতে না চাওয়া। মানে সব কিছুতেই সন্তানকে ভুল বোঝা।
৫. আপনার সন্তানকে আপনি নিজেই পড়াচ্ছেন! কিন্তু সঠিক উপায়ে নয়। কারণ অনেক পিতামাতাই সন্তানকে পড়ানোর সময় খুব চাপ দিয়ে থাকেন যা ঠিক নয়।
৬. অনেক পিতামাতাই মনে করেন যে হোমওয়ার্ক করাটা হয়তো অযথা সময় নষ্ট কিন্তু এটি ভুল ধারণা।
৭. অনেক সময়ই সন্তানকে পিতামাতা বলে থাকেন এটা করো, ওটা করো, তাহলে তাকে ভালো কিছু দেয়া হবে। এই কাজটিও করা ঠিক নয়।
৮. সন্তানকে আইনস্টাইন বানানোর চেষ্টাও সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। ছোটবেলা থেকেই সন্তান ডাক্তার হবে, ইঞ্জিনিয়ার হবে, বড় বিজ্ঞানী হবে এগুলো নিয়ে তাদের ধারণা দেয়াও পিতামাতার ভুল ধারণা।
৯. অনেক পিতামাতাই মনে করেন মাঝে মাঝে মিথ্যা বলা ভালো। কারণ এই বিষয়টি সন্তানকে অনেক চালাক করে তোলে। কিন্তু পিতামাতা নিজেই অনেক সময় জানেন না যে সন্তান কখন কি নিয়ে তাদের সাথে মিথ্যা বলছে।
১০. আপনার সন্তান খুব সাহসী হতেই পারে কিন্তু এটি কিন্তু কোন গর্বের বিষয় নয়। অতিরিক্ত সাহসের কারণে পিতামাতাকেই শেষমেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। তাই সন্তানকে অযথা ঝুঁকি নিতে শেখাবেন না, সব কাজ একলা করতে দেবেন না।
বিবার্তা/জিয়া