বিছানার চাদর থেকে অন্তর্বাস, পোষা প্রাণী থেকে গাড়ি, চুল থেকে শুরু করে জিনসের প্যান্ট- ইত্যাদি সবকিছুই তো ধুতে হয় প্রতিনিয়ত। কিন্তু কোন জিনিস কতদিন পর পর ধোয়া ভালো জানেন কি? যেমন ধরুন, বালিশের কাভার বদল করছেন ২/৩ দিন পর পর। কিন্তু জানেন কি, এই জিনিসটি রোজ বদলে ফেলা উচিত? আর সেটা না করলে হুমকির মুখে পড়ে যায় আপনার স্বাস্থ্য। চলুন, জেনে নিন কোন জিনিসটি কতদিন পর পর ধোয়া স্বাস্থ্যসম্মত।
১. বিছানার চাদর ৪/৫ দিন পর পরিই বদলে ফেলুন এবং ধুয়ে ফেলুন।
২. মোজা ধুতে হবে একবার পরার পরই।
৩. দুই সপ্তাহে একবার গাড়ি ধুয়ে ফেললেই চলবে।
৪. কখনো কি নিজের হাত ব্যাগ বা ভ্যানিটি ব্যাগটি ধুয়েছেন? এই ব্যাগে করেই কিন্তু জীবাণু ঢোকে আপনার বাড়িতে। সপ্তাহে একবার হাত ব্যাগ ধুয়ে ফেলুন। যেটা ধুতে পারবেন না, সেটা পরিষ্কার করুন জীবাণুনাশক দ্রব্য দিয়ে।
৫. পোষা প্রাণীকে গোসল করানো আপনার স্বাস্থ্যের জন্যই জরুরি। যখনই প্রয়োজন, গোসল করিয়ে নিন।
৬. রান্নঘরের সিঙ্ক পরিষ্কার করবেন প্রতিদিনই।
৭. জিন্সের প্যান্ট ৪/৫ বার পরার পর ধুয়ে ফেলুন।
৮. ব্রা ৩/৪ বার পরার পর ধুয়ে ফেললেই ভালো।
৯. নিম্নাঙ্গের অন্তর্বাস ধুয়ে ফেলুন রোজ।
১০. মুখ দিনে দুবার ধোবেন সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে, সকালে ও রাতে। বেশী পরিষ্কারক দ্রব্য মুখে ব্যবহার করলে শুষ্ক হয়ে যায় ত্বক।
১১. চুল একদিন পর পর শ্যাম্পু করবেন যদি বাইরে কাজে যান। ঘরে থাকা কাজ হলে দুদিন পর পর।
১২. ম্যাটরেস/তোশক/জাজিম ৬ মাসে একবার পরিষ্কার করুন। প্রথমে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করুন, তারপর কাপড়ে জীবাণুনাশক দ্রব্য নিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।
১৩. ওভেন ৬ মাস পর পর খুব ভালো করে পরিষ্কার করুন, র্যাকগুলো বের করে ধুয়ে নিন।
১৪. ফ্রিজের ক্ষেত্রে এই কাজটি মাসে একবার করলেই ভালো।
১৫. উঠিয়ে রাখা হাঁড়ি পাতিল প্রত্যেক ৫ মাসে একবার বের করে ভালো করে মেজে, শুকিয়ে আবার তুলে রাখুন।
১৬. কার্পেট একই ভাবে ম্যাটরেসের মত পরিষ্কার করে রোদে দেবেন। প্রতি ৪ মাসে একবার।
১৭. ওয়াশিং মেশিন প্রত্যেকবার ইউজের পরই ধুয়ে ফেলা ভালো।
১৮. কম্পিউটার প্রতি মাসে একবার জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করবেন।
১৯. তোয়ালে প্রত্যেক সপ্তাহেই ভালো করে ধুতে হবে।
২০. কাঁথা জিনিসটাও প্রতি সপ্তাহে ধোবেন।
২১. বালিশের কাভার ধুতে হবে রোজ। সূত্র: অলইনইউডটকম
বিবার্তা/জিয়া