আমাদের চারপাশটা যদি রঙহীন হতো! কেমন হতো? আচ্ছা আপনি জানেন কি এই রঙ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কি প্রভাব ফেলছে? কখনো কি জানতে ইচ্ছা করে কি বলে আপনার প্রিয় রঙ আপনার সম্পর্কে? অবাক হচ্ছেন তাই তো! আসুন আজ জেনে নেই রঙ নিয়ে এমনই কিছু অজানা কথা:
নীল: নীলকে ধরা হয় প্রশান্তির রঙ। তাই হাসপাতালে বেশিরভাগ সময় নীল রঙ ব্যবহার করা হয়। ডাইনিং রুমের রং নীল হলে দেহের ওজন কমে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নীল রং পছন্দ করেন, তাদের ওজন তুলনামূলক কম থাকে। তাছাড়া পশ্চিমা দেশগুলোতে নীল মানে পুরুষবাচক। যখন কেউ নীল পরে তার মানে সে নির্ভরযোগ্য, দায়িত্বশীল, উঁচুমানসম্পন্ন ও আস্থাশীল।
গোলাপি: এ রং প্রভাব ফেলে মস্তিষ্কে। বিরক্তি ও রাগ কমাতেও এই রংয়ের ভূমিকা অনন্য। যাদের পোশাকে গোলাপির প্রাধান্য থাকে, তারা অন্যদের কাছে তুলনামূলক বেশি আকর্ষণীয় হন। আন্তরিকতার প্রতীক হিসেবেও গোলাপি রঙ ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
লাল: লাল রঙের সাহায্যে একজন নারী পুরুষের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারেন। লালের প্রকোপ বেশি এমন পোশাক পরা নারীকে পুরুষরা বেশি পছন্দ করেন। আবার লাল মানে বিপদ। তাই খেলোয়াড়দের মাঝে মাঝে মুখে লাল রঙ মাখতে দেখা যায় প্রতিপক্ষকে বিভ্রান্ত করার জন্য। তাই শিহরণ, নেতিবাচক মূল্যবোধ আর ভালবাসা বোঝাতে লাল থেকে ভাল আর কোন রং নেই।
হলুদ: এ রং মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ হলুদ রং মস্তিষ্ককে জাগ্রত করে। হিংসা, সুযোগ্যতা আর সুখবোধ বোঝাতেও হলুদ রঙকেই নির্দেশ করা হয়।
সবুজ: মাথা ঠাণ্ডা রাখতে সবুজের বিকল্প নেই। এজন্যই টিভি স্টুডিওগুলোতে ‘গ্রিনরুম’ নামে একটি ঘর থাকে। অনুষ্ঠানের আগে শিল্পীরা সেখানে বসে মস্তিষ্ককে সুস্থির করে নেন। মস্তিষ্কের প্রশান্তির জন্য সবুজের বিকল্প নেই। একে প্রকৃতির রঙও বলা হয়।
সাদা: সাদা শুদ্ধতা ও বিশ্বাসের প্রতীক। প্রভাবের ক্ষেত্রেও তাই। সাদা পোশাক পরা মানুষকে আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখি। তাই তো নার্স ও চিকিৎসকরা সাদা পোশাক পরেন। বিশুদ্ধতা আর নির্দোষিতার আবহ আনতে এখন অনেকে ঘরের রং সাদা করেন।
কালো: এটি অস্থিরকাতর প্রতীক। গবেষণায় দেখা গেছে, কালো পোশাক পরা লোক বেশি মারমুখী হয়। আর তাইতো কালকে বলা হয় ভয়ের প্রতীক।
বিবার্তা/জিয়া