সারাদিনের ক্লান্তি শেষে যখন ঘুমাতে যাবেন, তখন একটা প্রশান্তির ঘুম চাই। ঘুমানোর আগের প্রস্তুতিসহ নিজের একান্তের এই জায়গাটাও চাই নিজের মতোই হোক। হোক আরামপ্রদ ও শান্তির আবেশপূর্ণ। এজন্য আলোর ব্যবহারও জরুরি। সঠিক মাত্রার আলোর ব্যবহারই তৈরি করতে পারে সেই আবহ।
১. শোবার ঘোরে লাইটের ব্যবহার করবার সময় অবশ্যই মনে রাখতে হবে, সারাদিনের কর্ম ব্যস্ততা শেষে এই জায়গাটুকু আপনাকে প্রশান্তি দেবে। কাজেই আলোর ব্যবহার যেন উপযুক্ত হয় সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।
২. কক্ষে খুব বেশি আলো যেমন থাকবে, তেমনি এমন একটা আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে যেন চোখে কোনো সমস্যা সৃষ্টি না করে। এছাড়া একটু স্নিগ্ধ আলো ক্লান্তিটাকে অনেকটা দূর করবে।
৩. বিছানার দুইপাশে টেবিল ল্যাম্প রাখা যেতে পারে।
৪. সরাসরি বিছানায় আলো আসে, এমন স্থানে লাইট না রেখে একটু কৌণিকভাবে রাখা যেতে পারে। তাতে চোখের উপর সরাসরি বাড়তি চাপ পড়বে না।
৫. ড্রেসিং টেবিলের জায়গায় আলোর ব্যবস্থা একটু বেশি করতে হবে।
৬. কক্ষের পরিবেশকে একটু নাটকীয়তা আনতে অবশ্যই রঙিন টেবিল ল্যাম্প অথবা মোমের আলোর ব্যবহার করা যেতে পারে।
বাথরুমে আলোর ব্যবহার
১. বাথরুমে সবচেয়ে ভালো আলোর ব্যবহার যদি করতে হয়, তাহলে আয়নার কাছে বিশেষ করে দুইপাশে যদি আলোর ব্যবস্থা করতে হবে।
২. আর উপরে (ছাদে) আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। এটি যেমন আয়নাতে আপনার চেহারায় কোনো ছায়া পরা রোধ করবে তেমনি বাথরুম পরিষ্কারের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে।
৩. আয়তনে বড় বাথরুমের ক্ষেত্রে অবশ্যই গোসল করবার জায়গাটায় সরাসরি আলোর ব্যবস্থা করতে হবে, এটা ভুলে গেলে চলবে না।
বিবার্তা/জিয়া