দৈনন্দিন জীবনে একটি বাড়ির সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসটি হলো ফ্রিজ। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের সাথে এই ফ্রিজ ওতপ্রেতভাবে জড়িয়ে গেছে। এখন বাড়িতে ফ্রিজ না হলে যেন চলেই না। দীর্ঘ সময় খাবার সংরক্ষণ রেখে জীবনকে অনেকখানি সহজ করে দিয়েছে এই ফ্রিজ। কিন্তু ফ্রিজে খাবার রাখা কি স্বাস্থ্যকর? কতদিন পর্যন্ত ফ্রিজে খাবার রাখা স্বাস্থ্যকর? এসব জানেন না অনেকেই। আর তাদের জন্যই আজকের এই প্রতিবেদন।
সাধারণত ফ্রিজে দুই ধরণের খাবার সংরক্ষণ করা হয়। এক কাঁচা খাবার দুই রান্না করা খাবার। ফ্রিজে কাঁচা খাবার সংরক্ষণের পদ্ধতি এক রকম আবার রান্না করা খাবার সংরক্ষণের পদ্ধতি আরেক রকম। এই দুই খাবার ফ্রিজে আলাদা করে রাখা উচিত। তবে আজ আমরা রান্না করা খাবার রাখার বিষয়গুলি আলোচনা করবো।
মৌসুমী ফল
অনেক সময় আমরা মৌসুমী ফল ফ্রিজে রেখে দিই। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সংরক্ষণের নিয়মাবলি মেনে তারপর রাখতে হবে। তবে খুব বেশিদিন ফল সবজি ফ্রিজে না রাখাই ভাল। কারণ এতে ফল সবজির পুষ্টিগুন ও স্বাদ উভয়ই নষ্ট হয়ে যায়। সাথে সাথে বেড়ে যায় স্বাস্থ্যহানি হবার ঝুঁকি।
রান্না করা মাছ, মাংস
রান্না করা মাছ,মাংস সাধারণত ৩/৪ দিন পর্যন্ত ফ্রিজে রাখতে পারেন। এর বেশি রাখলে খাওয়ার আগে খেয়াল করবেন মাছ মাংসের গন্ধ ঠিক আছে কিনা। রান্না করা খাবার ফ্রিজে ঢাকনা দিয়ে রাখা ভাল। এতে এক খাবারের গন্ধ অন্য খাবারে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
ডিম
সাধারণত ডিম অনেকেই ফ্রিজের বাইরে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে থাকেন। ফ্রিজে রাখলে ডিম অনেক দিন পর্যন্ত ভাল থাকবে। ৩ থেকে ৫ সপ্তাহ পর্যন্ত ডিম ফ্রিজে রাখা যেতে পারে।
জলপাই এবং আচার
জলপাই এবং আচার ফ্রিজে এক মাস পর্যন্ত রাখতে পারেন। এতে আচারের স্বাদ এবং গন্ধ দুটোই ঠিক থাকে।
সালাদ
ডিম, মুরগি, অথবা মাছের সালাদ তিন থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত ফ্রিজে রাখতে পারেন। তবে খাওয়ার আগে ভাল করে দেখে নিবেন সালাদটি ঠিক আছে কিনা।
মাখন
আপনার ফ্রিজে ১ থেকে ৩ মাস পর্যন্ত মাখন ভালো ভাবেই সংরক্ষণ করতে পারবেন। এর চাইতে বেশিও অনেকে রাখতে পারেন। তবে না রাখাই ভালো। মাখন এয়ার টাইট কনটেইনারে সংরক্ষণ করুন।
মিষ্টি এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার
মিষ্টি এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার ফ্রিজে চার থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত ফ্রিজে রাখা যায়। মিষ্টি প্যাকেটে না রেখে একটা প্লাষ্টিকের কনটেইনারে রেখে সংরক্ষণ করা ভাল।
সতর্কতা
ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ফ্রিজের তাপমাত্রার দিকে লক্ষ্য রাখবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী তাপমাত্রা বাড়িয়ে বা কমিয়ে নিবেন। ফ্রিজে খাবার যদি আপনি বাক্সে করে রাখতে অভ্যস্ত হন, তাহলে বাক্সগুলোর মাঝে কিছুটা জায়গা ফাঁকা রাখবেন। তাহলে বাতাস চলাচল করতে পারবে।
বিবার্তা/জাকিয়া/যুথি