কোরবানির ঈদ গেল কয় দিন আগেই। সেই ঈদ থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত মুখোমুখি হতে হচ্ছে মাংসের। টানা কয়দিন মাংস খেতে খেতে মুখে অরুচি ধরে গেছে। এই অবস্থায় চাই স্বাদের পরিবর্তন। আর তার জন্য আজ রইলো হরেক রকম ভর্তা। সচরাচর আলু, বেগুন ভর্তা সবাই খেয়ে থাকি। তালিকার বাইরে থাকা ভর্তার আয়োজন নিয়ে এলাম আজ। আসুন দেখে নেয়া যাক ভর্তা তৈরির রেসিপিগুলো-
কালিজিরা ভর্তা
কালিজিরা ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে হালকা করে তেলে ভেজে নিতে হবে। সেইসাথে কাঁচা মরিচ, পেয়াজ কুচি, রসুন কুচিও হালকা তেলে ভেজে নিন। এবার এগুলোকে পাটায় ভালোভাবে বেটে নিন। এরসাথে স্বাদমতো লবন মিশিয়ে নিন। ব্যস তৈরি হয়ে গেল কালিজিরা ভর্তা। এখন আপনার পছন্দ অনুয়ায়ী পরিবেশন করুন।
চিনা বাদাম ভর্তা
প্রথমে চিনা বাদামের খোসা ছাড়িয়ে নিন। এরপর বাদামের গায়ে লেগে থাকা লাল খোসা ছাড়িয়ে নিন। কাঁচা বাদাম হলে একটু ভেজে নিতে হবে। তবে আগে থেকে ভাজা থাকলে আর ভাজতে হবে না। এখন বাদামগুলোকে শিল-পাটায় বেটে নিতে হবে। বাটা বাদামের মধ্যে একটু লবণ এবং সরিষার তেল এবং ধনিয়াপাতা কুচি দিয়ে মেখে নিতে হবে। তৈরি হয়ে গেল চিনা বাদামের ভর্তা।
তিল ভর্তা
কালো তিল হলে খোসা ছড়িয়ে নিতে হবে। তবে সাদা তিল দিয়েও ভর্তা বানানো যায়। তিলগুলোকে একটু ভেজে নেওয়া যেতে পারে। এখন বেটে নিতে হবে। বাটারসময় একটু লবণ দিয়ে নিলে ভালো হয়। তাহলে পরে আর লবণ দিতে হবেনা। সাথে একটু ধনিয়া পাতা দিয়ে মেখে নানা ভাবে পরিবেশন করতে পারেন।
কাঁচা কলার খোসা ভর্তা
কাঁচা কলা থেকে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এবার খোসাগুলোকে কুচিকুচি করে কেটে নিন। একটু গরম পানি দিয়ে কাটা খোসাগুলো ধুয়ে নিন। এবার কুচিকুচি করে কাটা কলার খোসাগুলোর সাথে কাঁচা মরিচ, পেয়াজ ও রসুন দিয়ে ভেজে নিতে হবে। ভাজার সময় পরিমাণমত লবণ এবং সামাণ্য হলুদ দিন। ভাজা শেষে গরম গরম বেটে নিতে হবে। এবার একটু সরিষার তেল দিয়ে মেখে পরিবেশন করুন।
শুঁটকি চিংড়ির ভর্তা
প্রথমে শুঁটকি চিংড়ি গুলো হালকা করে ভেঁজে নিন। একই কড়াইতে কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ ও রসুন সামান্য তেল দিয়ে ভেঁজে নিন। এবার সামাণ্য লবন দিয়ে ভাজা চিংড়ি, পেঁয়াজ, রসুন ও ধনিয়া পাতা একসাথে মিশিয়ে পাটায় বেটে নিন। ব্যাস হয়ে গেলো শুঁটকি চিংড়ির ভর্তা। এবার পরিবেশন করুন।
বিবার্তা/জাকিয়া/যুথি