জানেন কি, মেয়েদের কোন দিকটা ছেলেদের সবচেয়ে আগে নজর বা ই-বুক পড়ার চেয়েও বেশি কাড়ে? হাতে নিয়ে বই পড়লে পাঠ্য বিষয়টি বেশি মনে থাকে কেন? এরকমই কিছু প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি আমরা বিভিন্ন দেশের গবেষকদের কাছ থেকে।
নারীর যা পুরুষকে আকর্ষণ করে: নারী এবং পুরুষের পছন্দের মধ্যে তারতম্য থেকেই থাকে। পুরুষদের কাছে প্রথমেই চোখে পড়ে নারীর চেহারা বা হাসি মুখ এবং হাঁটা। অর্থাৎ নারীর হাসি মুখ আর স্মার্টভাবে হেঁটে যাওয়া পুরুষদের সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে। জার্মানির দক্ষিণে অবস্থিত ট্যুবিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ তথ্য প্রকাশ করেছেন একটি বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকায়।
সুখি হওয়ার মূল চাবিকাঠি কি শুধুই জিন: পরিবার, টাকা-পয়সা বা সাফল্য কি মানুষের সুখি বা সন্তুষ্ট থাকার মূল চাবিকাঠি? জার্মানির সারল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি জরিপে দেখা যায়, তিনজন সুখি মানুষের মধ্যে শুধুমাত্র একজনের রয়েছে জেনেটিক কারণ। অন্যদের সুখি হতে একটু বেশি চেষ্টা করতে হয়। গবেষণাটি করা হয় ১৭ থেকে ৭০ বয়সি প্রায় ২, ৬০০ মানুষের মধ্যে।
ছেলেদের থেকে মেয়েরা গুজবে কি বেশি বিশ্বাসী: তুলনামূলকভাবে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা গুজব বা রটানো খবরে বেশি বিশ্বাস করে থাকে। একটি অনলাইন ম্যাগাজিন-এ বের হওয়া ব্রাজিলিয়ান গবেষকদের দেয়া তথ্যে দেখা যায়, ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মগজে গন্ধ নেয়ার কোষ বেশি। মেয়েদের মস্তিষ্কে এই কোষের সংখ্যা এক কোটি ৬০ লাখ আর অন্যদিকে ছেলেদের রয়েছে মাত্র ৯০ লাখ এ ধরনের কোষ।
ছাপানো বইয়ের লেখা কি মনে বেশি নাড়া দেয়: নরওয়ে এবং ফ্রান্সের গবেষকরা মিলে একটি জরিপ করেছিলেন ২৫ জন মানুষের মধ্যে। ইলেক্ট্রনিক বই বা ই-বুক এবং ছাপানো বই পড়ার পর, বইয়ের বিষয় নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন-উত্তর করার পর দেখা গেছে যে, যাঁরা হাতে নিয়ে বই পড়েছেন, তাঁরাই ভালো উত্তর দিতে পেরেছেন। গবেষকদের ধারণা, বইয়ের পাতা উল্টাতে গিয়ে পাতার বিষয়গুলো মনে রাখতে সুবিধা হয়েছে এঁদের।
প্রতীক্ষার মুহূর্তগুলোই সবচেয়ে বেশি আনন্দের: ইতিবাচক কোনো কিছুর অপেক্ষা করাই নাকি সবচেয়ে আনন্দের। তা হতে পারে দূরে কোথাও ছুটি কাটাতে যাওয়ার প্রতীক্ষা অথবা স্বপ্নের কোনো একটা জিনিস হাতে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা। যেমন নতুন মডেলের গাড়ি, মোবাইল, প্রিয় লেখকের বই অথবা ভীষণ পছন্দের কোনো গানের সিডি। ৫০ জন মানুষের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা একটি জরিপের ফলাফলে বেরিয়ে আসে এ তথ্য।
ভাইবোনের সম্পর্ক, সারাজীবন বন্ধুত্ব: ভাই ও বোনের মধ্যে সুন্দর, মধুর সম্পর্ক দু’পক্ষের জন্যই ইতিবাচক। এছা়ড়া ছোটবেলা থেকেই যদি সম্পর্ক তিক্ত হয়, তাহলে পরবর্তী জীবনে তার একটা কুপ্রভাব পড়ে, বিশেষ করে ছেলেদের ক্ষেত্রে। পারিবারিক বন্ধন সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং শিশুদের নিঃস্বার্থ, অনুভূতিশীল করে তোলে। ভাইবোনের ৩০৮টি জুটির মধ্যে জরিপ চালিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্টের গবেষকরা এ তথ্য খুঁজে বের করেন।
বিবার্তা/জিয়া