হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা সুন্দ্রাটিকি গ্রামের ৪ শিশু হত্যা মামলার অভিযোগপত্রের (চার্জশীট) মূলনথি না থাকায় তা গ্রহণ করেননি আদালত।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) শামসাদ বেগমের আদালতে এ মামলার শুনানি হয়।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন জানান, আসামিদের জামিন আবেদনের জন্য চার্জশিটের মূলনথি ইতিপূর্বে দায়রা জজ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে তা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামসাদ বেগমের আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি। শুনানী শেষে আদালত চার্জশিট গ্রহণ না করে মূলনথি উপস্থাপনের জন্য আগামী ৫ মে মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।
এর আগে ৫ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক ওসি মো. মোকতাদির হোসেন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) মো. কাউছার আলমের আদালতে ৯ জনকে আসামি করে এ অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।
নিহত শিশুরা হলেন, সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র জাকারিয়া শুভ (৮), প্রথম শ্রেণির ছাত্র মনির মিয়া (৭), চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র তাজেল মিয়া (১০) ও সুন্দ্রাটিকি মাদ্রাসার ছাত্র ইসমাইল মিয়া (১০)। এদের মধ্যে প্রথম ৩ জন সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই। আর ইসমাইল তাদের প্রতিবেশী।
উল্লেখ্য, ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ৪ শিশুকে অপহরণ করা হয়। পাঁচদিন পর ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে গ্রাম থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরের ইছারবিল খালের পাশে বালুমিশ্রিত মাটির নিচে চার শিশুর মৃতদেহ পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শিশু মনির, শুভ ও তাজেলের বাবার সঙ্গে একটি বড়ই গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের পঞ্চায়েত আব্দুল আলী বাগলের বিরোধ ছিল। এর জের ধরে ওই চার শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়।
বিবার্তা/ফয়সল/নাজিম/জিয়া