গ্যাস, বিদ্যুৎ, তেল, চা, রাবার, সিলিকা বালু আর রেমিটেন্সের জন্য সিলেট বিভাগকে বিখ্যাত বলা হলেও মৎস্যসম্পদের দিক থেকে এ বিভাগ অনেক সমৃদ্ধ। সিলেট বিভাগে প্রতি বছর দুই লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়। যা এ অঞ্চলের চাহিদার তুলনায় ২২ হাজার মেট্রিক টন বেশি।
আর হবিগঞ্জ জেলায় উৎপাদন হয় ৪৯ হাজার মেট্রিক টন। যা চাহিদার তুলনায় সাত হাজার মেট্রিক টন বেশি। সাড়া দেশে ৩৫.৫ লাখ টন মৎস্য উৎপাদন হলেও তা চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট নয়। সরকার পরিকল্পনা করেছে ২০২১ সালে সারা দেশে ৪২ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের। তখন চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হবে। ফলে সরকার মাছ রপ্তানি করে বিদেশী মুদ্রা আহরণ করতে পারবে।
সরকারের মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির অন্যতম টার্গেট জোন হল হবিগঞ্জসহ সিলেট বিভাগ। এমনিতেই উদ্বৃদ্ধ হলেও ২০২১ সালে হবিগঞ্জ জেলায় উৎপাদন হবে ৬০ হাজার মেট্রিক টন এবং সিলেট বিভাগে হবে তিন লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি চষে বেড়াচ্ছে সাড়া দেশ।
সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সম্প্রতি একটি টিম আসে হবিগঞ্জে। প্রথমে তারা পরিদর্শন করে শায়েস্তাগঞ্জে অবস্থিত মৎস্য হ্যাচারি। পরে হবিগঞ্জ সার্কিট হাউজে মিলিত হয় মতবিনিময় সভায়। এতে উপস্থিত ছিলেন টিম প্রধান অ্যাডভোকেট মো. আলতাব আলী এমপি, অ্যাডভোকেট মো. সামছুন্নাহার বেগম এমপি, মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক ইসমাইল গোলদার, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম, পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন।
পরে সাংবাদিকদের টিম প্রধান অ্যাডভোকেট মো. আলতাব আলী এমপি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ মৎস্য উৎপাদনকারী দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছা ২০২১ সালের মাঝে বাংলাদেশকে প্রথম স্থানে নিয়ে আসা। এ লক্ষে সংসদীয় দল সারাদেশ চষে বেড়াচ্ছে। তবে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সিলেট বিভাগেই সম্ভাবনা বেশি। এর জন্য হ্যাচারি, পুকুর ও জলাশয়সহ বিভিন্ন অবকাঠামোর উন্নয়নের সুপারিশ করবে এই প্রতিনিধি দল। বিশেষ করে শায়েস্তাগঞ্জের হ্যাচারির উন্নয়নের জন্য জোর সুপারিশ করা হবে।
মহিলা এমপি অ্যাডভোকেট সামছুন্নাহারও মৎস্য উৎপাদনে সিলেট বিভাগের সম্ভাব্যতাকে কাজে লাগানোর ব্যাপারে চেষ্টা করছেন।
বিবার্তা/জিয়া