হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোপায় ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী দু’দফার সহিংসতায় পুলিশসহ অন্তত একশ’র বেশি লোক আহত হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রায় দেড়শ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।
মঙ্গলবার রাতে গোপায়া ইউনিয়নের বিজয়ী চেয়ারম্যান (আ.লীগ বিদ্রোহী) আক্তার হোসেন ও পরাজিত আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবুল কালামের সমর্থকদের মধ্যে প্রথমে সংঘর্ষ হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় বুধবার সকাল ৭টা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়ে চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোপায়া ইউনিয়নের বিজয়ী চেয়ারম্যান (আ.লীগ বিদ্রোহী) আক্তার হোসেন ও পরাজিত আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবুল কালামের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশ সহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১২৪ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৬ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। বুধবার সকালে আবারও দুই প্রার্থীর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ায়। এতে আরও অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। পরে হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন এসআই একেএম রাসেল, এসআই রকিবুল ও এসএসআই নুরে আলম সিদ্দিক।
আহতদের হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিবার্তা/ফয়সল/প্লাবন