গারো পাহড়ের পাদদেশে অবস্থিত হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলা। এই দুই উপজেলাকে ঘিরেই ১৪৬ ময়মনসিংহ-১ নির্বাচনী আসন। সদ্যপ্রয়াত সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন এমপির মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। একই সাথে হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়ার রাজনীতির মোড় ঘুরতে শুরু করে।
আসন্ন উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হালুয়াঘাটে চলছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের জমজমাট লড়াই। লড়াইটা অনেকটা প্রকাশ্যে এবং গোপনে চলছে। আড়ালে থাকা অনেক নেতাই এখন মনোনয়ন পাওয়ার আশায় প্রকাশ্যে বিভিন্ন ব্যানার ,ফ্যাস্টুন, ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার চালাচ্ছেন।
কে পাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন? এ প্রশ্ন এখন সবার। মনোনয়ন এর জন্য প্রধান লড়াইটা হবে সদ্য প্রয়াত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন এমপির ছেলে মিস্টার জুয়েল আরেং এবং বর্তমান হালুয়াঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ খানের সাথে, এমনটাই মনে করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
তবে বাকি প্রার্থীরাও যোগ্যতার দিক দিয়ে পিছিয়ে নেই। মিস্টার জুয়েল আরেং প্রকাশ্যে এখন পর্যন্ত কিছু বলেননি। উনি ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে প্রচারও চালাননি। তবে তরুণ এ নেতার অনুসারী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিয়মিত দলীয় মনোনয়নের জন্য প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থীদের মধ্যে আরেকজন হচ্ছেন আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক ভিপি এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ খান। তিনিও সরাসরি প্রচার না চালালেও তার শুভাকাঙ্ক্ষী ও কর্মীরা তার পক্ষে বেশ প্রচার চালাচ্ছেন। দলীয় নেতাকর্মীরা তার পাল্লাও ভারী দেখছেন।
দলীয় আরেকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী হচ্ছেন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের হালুয়াঘাট উপজেলার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. ইসমাইল হোসেন। তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি নতুন মুখ, উপজেলার রাজনীতিতে উনি তেমনভাবে সক্রিয় না হলেও তিনিও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মনোনয়নের জন্য।
হালুয়াঘাট- ধোবাউড়ার বিভিন্ন জায়গায় উনার বিশাল বিশাল ছবি ব্যানার, ফেস্টুন শোভা পাচ্ছে। আওয়ামী লীগের আরেকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী হয়েছেন ধোবাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান আকন্দ। হালুয়াঘাটের জনগনের কাছে তিনি নতুন মুখ হলেও ধোবাউড়ায় রয়েছে উনার বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে।
অবহেলিত ধোবাউড়ার নেতাকর্মীরা উনার জন্য মনে প্রাণে কাজ করে যাচ্ছেন এমনটাই শোনা যাচ্ছে। মনোনয়ন দৌড়ে উনিও যে পিছিয়ে নেই, তা এখন অনেকটা স্পষ্ট।
আওয়ামী লীগের আরেকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী হলেন হালুয়াঘাট ধোবাউড়া জনগণের কাছে একদম অপরিচিত মুখ জননেত্রী সৈনিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম চৌধুরী রানা। কেন্দ্রে উনার বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে, এমনটাই বলছেন দলীয় অনেক নেতাকর্মীরা।
দলীয় আরেক পার্থী হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রিন্সিপাল আব্দুল হাইয়ের ছেলে তরুণ রাজনীতিবিদ একেএম রাশেদুল হক সুজন। উপজেলার জনগণের কাছে উনিও নতুন মুখ। তবে উনার বাবার এলাকায় রয়েছে বেশ জনপ্রিয়তা।
এখন দেখার বিষয় শান্তিময় ১৪৬, হালুয়াঘাট- ধোবাউড়া ময়মনসিংহ-১ আসনে উপ-নির্বাচনে প্রয়াত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন এমপির উত্তরসূরী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী কাকে বেছে নেন। যে কেউ মনোনয়ন পান না কেন, এলাকার নেতাকর্মীদের দাবি উন্নত, আধুনিক ও সমৃদ্ধ হালুয়াঘাট গড়তে যেন সচেষ্ট ভূমিকা পালন করেন।
বিবার্তা/মিশু/জিয়া