কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ফাতেমা আক্তার (২১) নামে এক গৃহবধূর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে প্রতিবেশী সোহরাব নামে এক বখাটে। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর গ্রামে শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটেছে।
ওই গৃহবধূকে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটের চিকিৎসক ডা. রেজাউল ইসলাম জানান, রোগীর শরীরের ৬০ ভাগ আগুনে ঝলছে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গৃহবধূ ফাতেমা আক্তার জানান, একই গ্রামের সোহরাব দীর্ঘদিন ধরে ফাতেমা আক্তারকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তিনি এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভোর ৬টার দিকে বাথরুমের পাশে সোহরাব ওৎ পেতে ছিল।
পরে তার শরীরে কেরোসিন অথবা পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। তার চিৎকারে স্বামী বাচ্চু মিয়াসহ ও পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
প্রতিবেশী খোরশেদা খাতুন জানান, গত মঙ্গলবার ফাতেমাকে শাড়ি দেয়ার কথা বলে সেহরাব কুপ্রস্তাব দেয়। বিষয়টি ফাতেমা তার স্বামীসহ আশপাশের লোকজনের কাছে জানিয়ে এর বিচার দাবি করে আসছিল। ঘটনার দিন রাতে বিষয়টি নিয়ে সোহরাবের সাথে বাচ্চুর কথাকাটাকাটি হয়। পরের দিন ভোরে ফাতেমাকে আগুনে ঝলসে দেয়া হয়।
ফাতেমার স্বামী বাচ্চু মিয়া জানান, সেহরী খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়ছিলেন তার স্ত্রী কোরআন পড়ছিল। হঠাৎ ফাতেমার চিৎকারে তার ঘুম ভাঙে। ঘর থেকে বের হয়ে তিনি দেখেন স্ত্রীর সারা শরীরে আগুন। স্ত্রীকে উদ্ধার করতে গিয়ে তিনিও আগুনে দগ্ধ হয়েছেন।
অভিযুক্ত সোহরাবের চাচা ফিরোজ মিয়া জানান, সোহরাব এর আগেও কুকর্ম করতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে। সেই সময় স্থানীয়রা তার একটি কান কেটে দিয়েছিল। সোহরাব প্রকৃত দোষী হলে এর উপযুক্ত বিচার চাই।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হামিদুল হক ও ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি রুহুল আমিন তালুকদার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দগ্ধ ফাতেমাকে দেখতে আসেন।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) রুহুল আমিন তালুকদার জানান, একই গ্রামের হাজী দুদু মিয়ার বখাটে ছেলে সোহরাব মিয়া (৩৫) ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
বিবার্তা/রোকন/কাফী