হবিগঞ্জের বাহুবলে আলোচিত চার শিশু হত্যা মামলার তিন পলাতক আসামির মালামাল ক্রোক করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে কারাগারে আটক চারজন আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।
সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের জেলা জজ কিরণ শংকর হালদার এ আদেশ দেন। পলাতক আসামীরা হল উস্তার মিয়া, বেলাল মিয়া ও বাবুল মিয়া।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবুল হাসেম মোল্লা মাসুম জানান, শুনানি শেষে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত তিন পলাতক আসামির মালামাল ক্রোক করার আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সোমবার নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজির করা হয় কারাগারে থাকা আসামী আব্দুল আলী ওরফে বাগাল, তার ছেলে রুবেল মিয়া ও জুয়েল মিয়া এবং হাবিবুর রহমান আরজু। এ সময় তাদের পক্ষে আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার চাচাতো ভাই মনির মিয়া (৭), তাজেল মিয়া (১০) ও ইসমাইল হোসেন (১০) গত ১২ ফেব্রুয়ারি গ্রামের পার্শ্ববর্তী মাঠে খেলা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি বাড়ির অদূরে একটি বালুর ছড়া থেকে মাটি চাপা দেয়া অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
হৃদয়বিদারক এ ঘটনাটি দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।িএ ঘটনায় করা মামলার তদন্তভার পান ডিবি পুলিশের তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুকতাদির হোসেন। তিনি ৪৮ দিন তদন্ত শেষে ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। এতে অভিযুক্ত করা হয়- পঞ্চায়েত সর্দার আব্দুল আলী বাগাল, তার ছেলে জুয়েল মিয়া ও রুবেল মিয়া, ভাতিজা সাহেদ আলী ওরফে সায়েদ, অন্যতম সহযোগী হাবিবুর রহমান আরজু, উস্তার মিয়া, বেলাল মিয়া ও বাবুল মিয়াকে।
বিবার্তা/ফয়সল/জিয়া