পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় পৌর মেয়রের গুলিতে মো. লিটন (৩০) নামের এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম (২৮) ও এক শিশুসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। সোমবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ বিকেল ৫টার দিকে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে পৌর মেয়র ফেরদৌস ইসলাম তার লাইসেন্স করা পিস্তল নিয়ে গুলি শুরু করেন। এ সময় যুবলীগ কর্মী মো. লিটন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম, ফারুক খান (৫০) ও সিদ্দিকুর রহমান (৪৮) ও পথচারী মো. রাশেদ (১০) গুলিবিদ্ধ হন। লিটনকে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ফারুক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকি তিনজনকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রফিক উদ্দিন জানান,, লিটনের শরীরের বিভিন্ন অংশে গুলির চিহ্ন রয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, নিহত লিটন ও আহত শরীফুল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুরের অনুসারী। ফারুক ও সিদ্দিকুরের দলীয় পরিচয় সম্পর্কে জানা যায়নি। নিহত লিটনের বাড়ি মঠবাড়িয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। এলাকায় তাঁর একটি কাপড়ের দোকান রয়েছে।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার পর আশরাফুর টেলিফোনে বিবার্তাকে জানান, পৌর মেয়রের এলোপাথারী গুলিতে লিটন নিহত ও অনেকেই আহত হয়েছেন।
বিবার্তা/ডিডি/ইফতি