সুনামগঞ্জে বন্যার পানিতে ডুবে সদর, ছাতক ও ধর্মপাশা উপজেলায় নিখোঁজ তিন শিশুসহ চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজের দুইদিন পর মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ও স্থানীয়রা পৃথক স্থান থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে।
নিহতরা হলেন- ধর্মপাশার মলয়শ্রী গ্রামের জেলে ননী দাস (৫০), সদরের নবীনগরের আলমাছ আলীর ছেলে সরাফত আলী (১৩), ছাতকের গোয়ালগাঁও গ্রামের কারুজ্জামানের ছেলে মাদ্রাসা ছাত্র অহিদুজ্জামান রাসান (১২) ও তার চাচাতো ভাই বদরুজ্জামানের ছেলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির ছাত্র হামিদুজ্জামান আবিদ (৮)।
পুলিশ ও নিহতদের স্বজনরা জানায়, গত রবিবার সকালে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নবীনগর এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয় সরাফত আলী। গত দুই দিন ধরে সে নিখোঁজ ছিল। সকালে গ্রামের পাশের ডাবরখালী সেতুর কাছে তার লাশ ভেসে উঠলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তার লাশ উদ্ধার করে। একই দিনে বন্যার পানিতে হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হন ধর্মপাশা উপজেলার মলয়শ্রী গ্রামের জেলে ননী দাস। পরে সকালে তার লাশ ধারাম হাওরের উত্তর পাশ থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এদিকে গত রবিবার সকালে বাড়ির পাশে বন্যার পানিতে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া ছাতক উপজেলার গোয়ালগাঁও গ্রামে অহিদুজ্জামান রাসান ও তার চাচাতো ভাই হামিদুজ্জামান আবিদের লাশ সকালে উদ্ধার করা হয়।
সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক ও ধর্মপাশা থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, উদ্ধার হওয়া লাশ তাদের পরিবার ও স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিবার্তা/আমিন/রয়েল