হবিগঞ্জ শহরের গরুর বাজার (খাদ্য গুদাম রোড) এলাকায় জনৈক আব্দুল আলীর কলোনিতে মোবাইল ফোন চুরির অপরাধে তিন শিশুকে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এসআই রাজকুমারকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। এছাড়া রাত ৯টায় নির্যাতনকারী শাহ আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকাল ৭টায় রুবেল (১০), রনি (১০) ও মাহিন (৭) নামের ৩ শিশুকে মোবাইল চুরির অপরাধে বেঁধে মারধোর শুরু করেন শাহ আলম। তখন তারা চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে ভিড় জমালেও কেউ কোনো প্রতিবাদ করেননি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় সদর মডেল থানার পুলিশ। তারা শিশুদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তাদেরকে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে রনির মা রিপা বেগম ভয়ে প্রথমে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। পরে তিনি জানান, সকালে তার ছেলে রনি ও ভাগ্নে রুবেল কলোনির কয়েকজন শিশুর সঙ্গে ঝগড়া করে। এ অপরাধে শাহ আলম তাদেরকে ধরে এনে হাত-পা বেঁধে মারপিট করেন।
নির্যাতনের শিকার রনি জানায়, সে একটি গাড়ির হেলপার। ভোরে ঢাকা থেকে সে গাড়ির সঙ্গে আসে। তার গাড়ির চালক তাকে নামিয়ে দিয়ে বাড়ি চলে যান। সকালে শাহ আলম এসে রনি, তার ফুফাতো ভাই রুবেল ও মাহিনকে ধরে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করেন।
থানায় আটক নির্যাতনকারী শাহ আলম জানান, ওই শিশুরা মোবাইল ফোন ও টাকা চুরি করেছিল বলে তাদেরকে পিটিয়েছেন। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে একাধিক চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। সম্প্রতি তিনি অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন নেয়ার অভিযোগে দায়েরকৃত একটি মামলায় একমাস কারাভোগ করে ১৪ লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র জানান, শিশু নির্যাতনকারী শাহ আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। একই সঙ্গে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে সদর থানার এসআই রাজকুমারকে ক্লোজড করা হয়েছে।
বিবার্তা/ডিডি/ইফতি