ময়মনসিংহে তালেব আলী ম্যাটসের (মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং কোর্স) দুই শিক্ষার্থী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শির্থীরা ম্যাটস’র চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফজলুল হকের অপসারণ দাবি করে প্রতিষ্ঠানটিতে ভাঙচুর চালিয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর আরকে মিশন রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘ দিন যাবত পাঁচতলা ভবনের তালেব আলী ম্যাটস একই সঙ্গে পাঠদান ও আবাসিক হোস্টেল পরিচালনা করে আসছে। এখানে দ্বিতীয় তলার একপাশে চেয়ারম্যানের স্ত্রী থাকেন, আরেক পাশে প্রিন্সিপালের কক্ষ, তৃতীয় তলায় একপাশে শিক্ষা কার্যক্রম আরেক পাশে নারী অফিস কর্মচারীরা বসেন, নিচতলায় ছাত্র হোস্টেল, চতুর্থ তলায় মেয়ে শিক্ষার্থীরা এবং পঞ্চম তলায় ক্লাস ও আরেক পাশে অফিস স্টাফরা থাকেন। সব মিলিয়ে ৩৫ জন ছাত্র-ছাত্রী আবাসিকভাবে থাকেন এখানে।
শিক্ষার্থীরা জানান, ম্যাটসের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র পার্থ, সজীব ও শাহাদাত এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফজলুল হকের সহযোগিতায় প্রথম বর্ষের দু’ছাত্রীকে বিকেলে ধর্ষণ করে। সন্ধ্যার পরপরই এ নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান অপসারণ দাবিতে অফিস ভাঙচুর করা হয়।
স্থানীয় ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হানিফ মো. ওয়ালিউল্লাহ জানান, কয়েক ছাত্র প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ফজলুল হকের সহযোগিতায় ওই দু’ছাত্রীকে গণধর্ষণ করেছেন এমন কথা শোনা যাচ্ছে।
ঘটনার পর রাত সাড়ে ৭টার দিকে প্রতিষ্ঠানটির আবাসিক সব ছাত্র-ছাত্রী হোস্টেল ছেড়ে চলে গেছেন। এমনকি গণধর্ষণের শিকার দু’ছাত্রীরও কোনো খোঁজ নেই।
এ বিষয়ে নগরীর ৩ নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির টাউন সাব ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমান জানান, দু’ছাত্রী শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে শুনেছি। তবে তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। সব শিক্ষার্থী হোস্টেল ত্যাগ করেছেন। অভিযুক্ত তিন ছাত্র পার্থ, সজীব ও শাহাদাতকে খোঁজা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফজলুল হক বলেন, কোনো ছাত্রী ধর্ষিত হলে কেউ তো যাবে না। তারা বিচারের আশায় বসে থাকতো। এখানে ধর্ষণের কোনো কথা নেই। দীর্ঘদিন যাবত প্রতিষ্ঠান সুনাম নিয়ে চলছে।
বিবার্তা/ডিডি/ইফতি