চলতি বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে ভোলা সদরের ইলিশা ও রাজাপুর পয়েন্টে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, পুকুর ঘের ও আবাদি জমি।
হুমকির মুখে রয়েছে সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দুইটি মসজিদ, একটি পুলিশ ফাঁড়ি, ব্যাংকসহ বহু স্থাপনা। ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। এদিকে ভাঙন থেকে রক্ষা এবং বরাদ্দকৃত জিও ব্যাগ বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মাসুদ রানা বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে তীব্র ভাঙন চলছে মেঘনায়। এতে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। এখন ভাঙনের মুখে পড়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে দ্রুত পুরো এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। ভাঙনের তীব্রতায় মানুষজন ঘরবাড়ি সরিয়ে নিতেও সময় পাচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আক্তার বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ইলিশা ও রাজাপুর পয়েন্টে তীব্র ভাঙন চলছে। ভাঙনরোধে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করছি।
বিবার্তা/নিশি