পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার দায়ে এক পল্লিচিকিৎসককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিল্লুর রহমান এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পল্লিচিকিৎসকের নাম আলমগীর হোসেন (৪০)। তার বাড়ি উপজেলার উত্তর পাঠাকাটা গ্রামে। আলমগীর জামিন নিয়ে পালিয়েছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, আলমগীরের সঙ্গে এক নারীর অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে স্ত্রী হাফিজা বেগমের (৩৫) সঙ্গে তার প্রায়ই ঝগড়া হতো। ২০০৮ সালের ২২ জুন রাতে আলমগীর তার স্ত্রীকে ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করেন। এরপর ছেলে আশরাফুর রহমান (১১) ও মেয়ে জামিলা আক্তারকে (৩) ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। পরে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা গেটে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ড শেষে ডাকাতের ওপর দোষ চাপান আলমগীর। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আলমগীর হত্যার কথা স্বীকার করেন।
ঘটনার পরদিন হাফিজার ভাই আবুল বাশার বাদী হয়ে আলমগীরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। আলমগীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্ত শেষে মঠবাড়িয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহাবুবুর রহমান ২০০৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আলমগীরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন আদালত।
বিবার্তা/আমিন/রয়েল