ময়মনসিংহে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তালেব আলী ম্যাটস এর দুই নারী শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানি ও যৌন হয়রানির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ফজলুল হক ও চার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এমন একজন নারী শিক্ষার্থী কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেছেন।
থানার সেকেন্ড অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মুশফিকুর রহমান জানান, নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। প্রধান আসামি পরিচালক ফজলুল হক। অন্য আসামিরা হলেন, শেরপুরের শাহাদৎ ও সজীব ত্রিশালের পার্থ মহাপাত্র, ও কিশোরগঞ্জের দ্বীন মোহাম্মদ।
যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন এমন খবর পেয়ে অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা গত শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিষ্ঠানটিতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও বিক্ষোভ করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ফজলুল হক বলেন, অভিযোগকৃত ঘটনাটির সময় তিনি ঘটনাস্থলেই ছিলেন না, তার প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।
বাদী তাঁর এজাহারে লিখেছেন, ভর্তির সময় প্রতিষ্ঠানটি যে ধরনের সুবিধা দেয়ার কথা বলেছিল, তা না দেয়ায় তিনিসহ সাত নারী শিক্ষার্থী গত ২৮ জুলাই বাইরের মেসে চলে যান। এ ক্ষোভে তাদের শায়েস্তা করতে পরিচালকের নির্দেশে শনিবার দুই নারী শিক্ষার্থীকে কৌশলে অধ্যক্ষের কক্ষে ঢুকিয়ে অভিযুক্ত চার শিক্ষার্থী তাঁদের নির্যাতন করে।
এজাহারে আরো বলা হয়, ওই চার শিক্ষার্থী তাঁদের (নারী শিক্ষার্থীদ্বয়ের) মুখ চেপে ধরে কিল-ঘুষিসহ মারধর করে আপত্তিকর প্রস্তাব দেয়। শিক্ষার্থীদ্বয় এতে সাড়া না দেওয়ায় তাঁদের চুল ধরে মাটিতে ফেলে দেয় অভিযুক্তরা।
এ সময় অভিযোগকারীদের চিৎকারে প্রতিষ্ঠানের বাবুর্চি এগিয়ে এলে তাকে ভয়ভীতি দেখানো হয় এবং পরিচালক সম্পর্কে ভালো কথা না বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়।
অভিযোগকারী একজন জানান, মানসিক নির্যাতন, গাদাগাদি করে বসবাস ও খাওয়ার সমস্যা থাকায় তাঁরা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্ধারিত আবাসস্থল ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় তাঁদের ওপর নেমে এসেছে নির্যাতনের খড়্গ।
অভিযোগকারীর বাবা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।
বিবার্তা/আনোয়ার/কাফী