‘বঙ্গবাহাদুর’ নাম পাওয়া ভারতীয় হাতিটি রবিবার সকালে পায়ের শিকল ছিঁড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। তবে প্রায় দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টা শেষে হাতিটিকে পুনরায় ট্রাঙ্কুলাইজার প্রয়োগ করে অচেতন করা হয়েছে। তার পায়ে আবারও শিকল পড়ানোর চেষ্টা চলছে।
সকাল ৯টার দিকে জামালপুরের সরিষাবাড়ির কয়রা গ্রামে গাছের সাথে বেঁধে রাখা লোহার শিকল ছিঁড়ে মাঠে দৌড়ানো শুরু করে হাতিটি। প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে একটি উঁচু জায়গায় শেষপর্যন্ত ট্রাঙ্কুলাইজার ডার্ট নিক্ষেপ করে হাতিটিকে অচেতন করে বনকর্মীরা।
বন বিভাগের কর্মকর্তা অসীম মল্লিক বলেন, ‘এবার হাতিটির পায়ে বড় শিকল পড়ানো হচ্ছে। প্রায় ২০০-৩০০ ফিট লম্বা শিকল পড়ানো হবে।’
উঁচু যে জায়গায় হাতিটিকে অচেতন করা হয়েছে সেখানে বড় কোনো গাছ না থাকায় বাইরে থেকে গাছের গুড়ি এনে তার সাথে শিকল বাঁধা হবে বলে জানান তিনি। লম্বা শিকল থাকলে হাতিটির নড়াচড়া করতে সুবিধা হবে বলে আশা করছেন বন কর্মকর্তারা।
ভারতের আসাম থেকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে, একমাসের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ানো হাতিটিকে উদ্ধার করতে গিয়ে এর আগে একাধিকবার নাস্তানাবুদ হয়েছেন বন কর্মকর্তারা।
যমুনা নদী দিয়ে ভেসে আসার পর জুলাই থেকে হাতিটি বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলার চরাঞ্চলে ঘুরে বেড়ায়। বেশ কিছুদিন চেষ্টার পর জামালপুরের সরিষাবাড়িতে ১১ অগাস্ট হাতিটিকে ট্রাঙ্কুলাইজ করতে সমর্থ হন বনকর্মীরা। একপর্যায়ে হাতিটি পুকুরে পড়ে গেলে এলাকাবাসীর সহায়তায় সেটিকে টেনে তোলা হয়। এরপর থেকে হাতিটি সেখানেই বাঁধা ছিল।
বন বিভাগ জানায়, দুই-একদিনের মধ্যে হাতিটিকে তারা গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
বিবার্তা/আছিয়া/নিশি