পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অবস্থিত পায়রা সমুদ্র বন্দরের মাদার ভ্যাসেল থেকে পণ্য খালাস কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কাজ শুরু হয়নি।
রবিবার দুপুরে বহির্নোঙ্গরে অবস্থানরত ৫৩ হাজার মেট্রিক টন পাথর খালাস করতে পায়রা জেটি থেকে ছেড়ে ১২ টি লাইটার জাহাজ বঙ্গোপসাগরে প্রচণ্ড উত্তাল থাকায় গভীর সমুদ্রে যেতে পারেনি। শনিবার গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নবনির্মিত পায়রা বন্দরের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
পায়রা বন্দর ঘুরে দেখা গেছে, বন্দরের কম্পাউন্ডের মধ্যে ইতিমধ্যে একটি প্রশাসনিক অফিস, কর্মকর্তাদের থাকার জন্য আবাসিক ভবন, নিরাপত্তা ভবন, ব্যারাক হাউস, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, অভ্যন্তরীন সড়ক, শুল্কায়ন কার্যক্রম এবং বিদ্যুতায়ন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, দেশের মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু নির্মাণের ৫৩ হাজার টন পাথর নিয়ে বাংলাদেশের জল সীমানায় (হীরন পয়েন্টে) চীনা জাহাজ এমভি ফরচুন বার্ড অপেক্ষা করছে। রামনাবাদ চ্যানেলের বহির্নোঙ্গর থেকে পণ্য খালাস করার জন্য এমভি পেয়ারা-৬, এমভি ফেকু মিয়া, এমভি সৈনিক-৫, এমভি নিউটেক-২, এমভি নিউটেক-৬, এমভি মেরিন-৫, এম ভি মেরিন-৮, এম ভি টাইগার অব ইস্ট বেঙ্গল-৭, কেএসএল প্রাইড এবং কেএসএল গ্লাডিয়েটরসহ ১২টি লাইটার এবং ইন্টারন্যাশনাল সারভাইভাল জাহাজ জেটি থেকে গভীর সমুদ্রের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে। জাহাজ গুলো সাগরে কিছুদুর অগ্রসর হলেও প্রচণ্ড ঢেউ ও উত্তাল থাকায় পোর্ট টারমিনালে ফিরে এসেছে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মুহাম্মদ রেজাউল কবীর সাংবাদিকদের বলেন, পণ্য খালাস কার্যক্রম শুরু হলে বন্দরটি সচল হয়ে উঠবে।
পোর্টের হারবাল মাস্টার ফরিদ উদ্দিন জানান, আবহওয়া ভাল হলেই লাইটার জাহাজগুলো ভ্যাসেল জাহাজের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে।
অপরদিকে মালাশিয়া থেকে ১২হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চুনা পাথর নিয়ে এফবি বীজ জাহাজ সাগরের হীরন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। ওই জাহাজের রবিবার ১হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চুনা পাথর খালাসের কথা ছিল কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সেটাও সম্পন্ন হয়নি।
বিবার্তা/উত্তম কুমার/রয়েল