হবিগঞ্জে ভারতীয় টিভি সিরিয়াল কিরণমালা দেখাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ কমপক্ষে আড়াই শতাধিক লোক আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ১০ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বুধবার রাতে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ধল বাজারে শাকির রেস্টুরেন্টে স্টার জলসায় কিরণমালা সিরিয়াল দেখা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় ধল গ্রামের সানু মিয়ার কন্যা রেবা ও হাফসার সাথে একই গ্রামের আকবর মিয়ার কন্যা শেফালীর। খবর পেয়ে তাদের পরিবারের লোকজনও এসে তর্কে যোগ দেয়। এ সময় রেষ্টুরেন্টের মালিক কামরুলসহ পাঁচ জন আহত হয়। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা রাতেই বিষয়টি সমাধান করে দেন।
তবে এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে উভয়পক্ষের লোকজন বাজারের পাশের একটি খেলার মাঠে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন ভাংচুর করা হয়। সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে। এ সময় হবিগঞ্জ-লাখাই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে সদর থানার ওসি ইয়াসিনুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাঠিচার্জসহ রাবার বুলেট, টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের মধ্যে কাদির মিয়া, সাবাজ মিয়া, তাহের মিয়া, আরজু, বাচ্চু, পরশ, ধলাই, উমেদ, আরাফাত, গফুর, ইমতিয়াজ, আজিজ, ওমর, বকুল, কালাম, শাহিদুল, নুর মিয়া, দিদার হোসেন, জামাল মিয়া, দরবেশ, জাহির, আলমগীর, হান্নান, জুলহাস, মোবারক, হাবিব মিয়া, আব্দুর রহিম, মামুন, ইমান আলী, জবেদা খাতুন, আব্দুল মতিন, বেলাল, খুর্শেদ আলী, হারুন, মুর্শেদ, হিরণ মিয়া, কুদ্দুছ, মাইন উদ্দিন, মিজাজ আলী, আব্দুল মতলিব, রুকন আলী, সাহেব আলী, কাজল মিয়া, আব্দুল আলীম, উজ্জল, আব্দুল খালেকসহ অন্তত ২ শতাধিক লোককে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গুলি ও টেটাবিদ্ধ অবস্থায় আতর আলী, নানু মিয়া, গিয়াস উদ্দিন, মোশারফ, খেলু মিয়া, টেনুসহ ১০ জনকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এছাড়া অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সদর থানার ওসি ইয়াসিনুল হক সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিবার্তা/ফয়সাল/ফারিজ