বাবার সঙ্গে চায়ের দোকানে কাজ করেও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়া ঝালকাঠির নলছিটির সেই সোহেল রানাকে ফুলের তোড়া, শিক্ষা উপকরণ ও পোশাক উপহার দিয়েছেন এক শিক্ষানুরাগী।
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী হিসেবে পরিচিত আবদুল লতিফ খসরু শনিবার দুপুরে সোহেল রানাদের চায়ের দোকানের সামনে বসে উপহারসামগ্রী তুলে দেন। এ সময় সোহেল রানার বাবা তোফাজ্জেল হোসেন ও মা হ্যাপি বেগম উপস্থিত ছিলেন।
খবর পেয়ে লঞ্চঘাট এলাকার ওই দোকানের সামনে আশপাশের লোকজনও ছুটে আসেন। তারাও সোহেল রানার কৃতিত্বে আনন্দ প্রকাশ করেন।
শিক্ষানুরাগী আবদুল লতিফ খসরু বলেন, ‘সোহেল রানার সংগ্রামী জীবন ও জিপিএ ৫ নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনগুলো পড়ে আমি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ি। উপহারসামগ্রী দেয়াটা মূল উদ্দেশ্য নয়, তাকে একনজর দেখাটাই আমার লক্ষ্য ছিল। আমি আশা করি এই মেধাবী শিক্ষার্থীর পাশে বিত্তবানরাও এগিয়ে আসবেন।’
জিপিএ ৫ পাওয়া সোহেল রানা বলেন, আমাকে নিয়ে খবর প্রকাশিত হবার পর দেশ-বিদেশের অনেকে আমার বাবার কাছে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শুধু তাই নয় নলছটির ইউএনও স্যারও ফলাফলের খবর শুনে মিষ্টি নিয়ে এসেছিলেন। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
উল্লেখ্য, নলছিটি ডিগ্রি কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ ৫ পান শহরের খাসমহল বস্তিতে বসবাসকারী সোহেল রানা। তিনি বাবার সঙ্গে লঞ্চঘাটে একটি চায়ের দোকানে কাজ করতেন। এমনকি কলেজের সামনে ও শহরে ভ্রাম্যমাণ চৌকি বসিয়ে জিলাপি, ছোলা ও পেঁয়াজু বিক্রি করে সংসার ও লেখাপড়ার খরচ জুগিয়েছেন।
বিবার্তা/সৈয়দ বশির/নাজিম