নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১২ জন।
রবিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের খামারগাড়া গ্রাম মাদ্রাসা পাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, ওই গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩২), একই গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে সাদেকুল ইসলাম বাবু (৩০) ও বাড়ির মালিক বিপ্লবের স্ত্রী রাশেদা বেগম (৩৫)।
আহতরা হলেন, আবু হাসান সিরাজ ওরফে বিপ্লব, তার স্ত্রী বাচ্ছাই ও প্রতিবেশী মোসাব আলী, রেজাউল করিম, নাইম ইসলাম, তাহেরা বেগম, রতনা বেগম, জহুরা বেগম, সাজু মিয়া, রশিদুল ইসলাম, তহদ্দি মামুদ ও মানিক হোসেন। এর মধ্যে আবু হাসান, মোসাব আলী, রেজাউল করিম, নাইম ইসলাম, তাহেরা বেগম ও রতনা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়দের বক্তব্য, রাত ৮টার দিকে আবু হাসানের বাড়িতে বৈদ্যুতিক শট-সার্কিট হলে আহত হন তিনি (হাসান) এবং তার স্ত্রী বাচ্ছাই। তাদের দেখতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হন অন্যরা। আর ঘটনাস্থলে সাদেকুল এবং রংপুর মেডিকেলে নেওয়ার পথে মারা যান তারিকুল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জ থানার ওসি বজলুর রশিদ জানান, আহতরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর প্রাথমিকভাবে জানা গেছে বিদ্যুতের শর্ট-সার্কিট থেকে এ ঘটনা ঘটেছে।
রংপুর মেডিকেলে কর্মরত চিকিৎসক ডা. সনিয়া, রতন, নুপুর বলেন, প্রতি রোগির ৬০ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ। তাদের সবারই অবস্থা গুরুতর।
বিবার্তা/ইডি/ইফতি