নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত রয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন।
নিহতরা হলেন, উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের খামারগাড়া গ্রাম মাদ্রাসা পাড়ার কফিল উদ্দিনের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩২), একই গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে সাদেকুল ইসলাম বাবু (৩০), বাড়ির মালিক বিপ্লবের স্ত্রী রাশেদা বেগম (৩৫), প্রতিবেশী মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী তাহেরা বেগম (৫০) ও আরেকজনের নাম নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রবিবার রাত ৮টার দিকে ওই গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধরা হলেন আবু হাসান সিরাজ ওরফে বিপ্লব, তার স্ত্রী বাচ্ছাই ও প্রতিবেশী মোসাব আলী, রেজাউল করিম, নাইম ইসলাম, রতনা বেগম, জহুরা বেগম, সাজু মিয়া, রশিদুল ইসলাম, তহদ্দি মামুদ ও মানিক হোসেন। এর মধ্যে আবু হাসান, মোসাব আলী, রেজাউল করিম, নাইম ইসলাম, তাহেরা বেগম ও রতনা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়দের বক্তব্য, রাত ৮টার দিকে আবু হাসানের বাড়িতে বৈদ্যুতিক শট-সার্কিট হলে আহত হন তিনি (হাসান) এবং তার স্ত্রী বাচ্ছাই। তাদের দেখতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হন অন্যরা। আর ঘটনাস্থলে সাদেকুল এবং রংপুর মেডিকেলে নেওয়ার পথে মারা যান তারিকুল। আর অন্যদের মৃত্যু হয়েছে মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায়।
কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশিদ জানান, আহতরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর প্রাথমিকভাবে জানা গেছে বিদ্যুতের শর্ট-সার্কিট থেকে এ ঘটনা ঘটেছে।
রংপুর মেডিকেলে কর্মরত চিকিৎসক ডা. সনিয়া, রতন, নুপুর বলেন, প্রতি রোগীর ৬০ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ। তাদের সবারই অবস্থা গুরুতর।
বিবার্তা/সুমন/জিয়া