ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে উচাখিলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে অভিভাবকরা।
শনিবার দুপুর ৩টায় বিদ্যালয়ের আসন্ন গভর্ণিং বডির নির্বাচন কেন্দ্র করে অভিভাবকরা এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
জানা যায়, বিদ্যালয়ের পূর্বের গভর্ণিং বডির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন গভর্নিং বডি গঠনের লক্ষে সরকারি বিধি মোতাবেক ৯ আগস্ট তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ি রবিবার (২৮ আগষ্ট)নির্বাচনের দিন ধার্য করা হয়। নির্বাচনে মোট ৭জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। নির্বাচনী তফসিলে প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার প্রতীক বরাদ্দের বিষয়টি তফসিলে না আনায় কয়েকজন প্রার্থী বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করেন। এতে প্রিজাইডিং অফিসার কর্ণপাত না করলে প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করবেন না বলে ৬জন অভিভাবক তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন এবং বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি) শারমিন জাহান স্বাক্ষরিত ২২ আগস্ট এক চিঠিতে প্রতীক বরাদ্দের মাধ্যমে নির্বাচন গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিন্তু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কৌশলে সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন এবং অভিভাবকদের আর কোন ভোটের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দেন। এতে অভিভাবকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে শনিবার ৩টায় বিদ্যালয় ঘেরাও করে অধ্যক্ষ ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে উক্ত নির্বাচন বাতিলের দাবি জানান। নির্বাচনে স্কুল শাখায় ১ হাজার ৫৫১ ও কলেজ শাখায় ২৪২ জন ভোটার ছিলেন।
অভিভাবক সদস্য প্রার্থী হারুন অর রশিদ বলেন, নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছফিউল্লা সরকার মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে প্রতীক ছাড়াই অধ্যক্ষের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পাঁয়তারা করছে।
অভিভাবক সদস্য প্রার্থী নূরুল হক সরকার, আব্দুস ছালাম সরকার ও হেলাল উদ্দিন জানান, তাদের কে কৌশলে নির্বাচন থেকে মনোনয়নপ্রত্র প্রত্যাহার করানো হয়েছে।
বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো. আদুল হালিম জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন বিধিমালা ২০০৯ অনুসরণ করে প্রতীক বরাদ্দ ছাড়াই যথা নিয়মে নির্বাচনী তফসিল দেয়া হয়। এতে কয়েকজন ক্ষুব্ধ হয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নির্বাচন বাতিলের দাবি জানান। তবে শুধু শিক্ষকদের ভোট রবিবার উপজেলা পরিষদে অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ছফিউল্লাহ সরকার বলেন, বিধিতে যা আছে আমি সে মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। যারা বিক্ষোভ করছে তারা আগেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার এসআই গোলাম মওলা জানান, কিছু অভিভাবক বিক্ষোভ করে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের চেষ্টা করছিলো। পরিবেশ এখন শান্ত রয়েছে।
বিবার্তা/আনোয়ার/নাজিম