লালমনিরহাটে বাড়ছে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চলতি মাসে অন্তত ১০ শিশু পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায় বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। অকালে ঝরে যাওয়া এসব শিশু অভিভাবকদের অগোচরে পুকুরের পানিতে নেমে দুর্ঘটনার শিকার হয়।
চিকিৎসকদের পরামর্শমতে, পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু রোধে বাড়ির পাশের পুকুর বা ডোবার চারদিকে বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখতে হবে। এছাড়াও অভিভাকদের অবশ্যই শিশুদের চোখে চোখে রাখতে হবে।
জানা যায়, শনিবার বিকেলে পাটগ্রামের বুড়িমারী এলাকায় পরিবারের লোকজনের অগোচরে পুকুরের পানিতে গোসল করতে নেমে ডুবে যায় ইতি (৪) ও নওরীন (৫) নামের দুই শিশু। পরে সন্ধ্যার দিকে তাদের লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসীরা উদ্ধার করে। ইতি ইসলামপুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে এবং একই গ্রামের বাসিন্দা আহাদ আলীর মেয়ে নওরীন।
এদিকে পার্শ্ববর্তী উপজেলা হাতীবান্ধায় গত সপ্তাহে পুকুরের পানিতে ডুবে মারা গেছে তিন শিশু। এর মধ্যে বুধবার উপজেলার কেতকীবাড়ী গ্রামে রাকিব (২) নামের এক শিশুর পুকুরে ডুবে মৃত্যু হয়। সে নওদাবাস ইউনিয়নের কেতকীবাড়ী গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। এর একদিন পর পুকুরের পানিতে ডুবে উপজেলার পূর্ব কাদমা গ্রামের আজিজুল হকের প্রাইমারি পড়ুয়া ছেলে মামুনের (৮) মৃত্যু হয়। একইভাবে ২১ আগস্ট পুকুরের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় লতিফুর ইশরাক রিদম (৯) নামের এক শিশুর।
এর আগে ১ আগস্ট বাড়াই পাড়া গ্রামের তফসির উদ্দিনের ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন হাফিজুল ইসলাম (১৫) এবং পূর্ব-সারডুবি গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে, স্থানীয় মিলনবাজার আমেনা খাতুন বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর ছাত্র মুন্না (৫) পানিতে ডুবে মারা যায়।
অপরদিকে ৯ আগস্ট দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোঘলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামে পুকুরে ডুবে দুই ভাইবোনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হল সদর উপজেলার ফুলগাছ গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও আমিচা বেগম দম্পত্তির বড় মেয়ে ঋতু মনি (৮) ও ছোট ছেলে হৃদয় ইসলাম (৬)।
বিবার্তা/সাজু/নিশি