বগুড়ার শেরপুরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত জঙ্গি আবু ইব্রাহিম ওরফে তারেক ওরফে রিপনের লাশ গ্রহণ করেছেন তার স্বজনরা।
শুক্রবার বিকেলে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে তার লাশ বুঝে নেন মা সালমা বেগম। এ সময় রিপনের বোন সামিনা ফেরদৌস ও মামা খন্দকার সালেহ সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রিপনের বোন সামিনা ফেরদৌস তিন্না জানিয়েছিলেন তারা লাশ নেবেন না।
এদিকে, এখনও মর্গে পড়ে আছে খালেদ ওরফে বদর মামা, যাকে জেএমবির উত্তরাঞ্চলের সামরিক প্রধান বলে দাবি করছে পুলিশ।
বগুড়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান (মিডিয়া) বলেন, ‘জঙ্গি’ রিপনের মা ও তার আাত্মীয়দের কাছে বিকালে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। “তবে অপর নিহত জঙ্গি উত্তরাঞ্চলের জেএমবির সামরিক প্রধান চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের খালিদ হাসান ওরফে বদর মামার লাশ নিতে তার আত্মীয়রা কেউ আসেনি।”
রিপনের মা সালমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, নিহত হওয়ার তিন মাস আগে থেকেই তার ছেলে নিখোঁজ ছিল। জঙ্গিরা মগজ ধোলাই করে তার ছেলেকে সন্ত্রাসের পথে নিয়ে যায়।
ছেলের কৃতকর্মের জন্য তিনি লজ্জিত ও দুঃখিত। কেউ যাতে তার ছেলের মত ভুল পথে না যায় এ আশা ব্যক্ত করেন।
রিপনের বোন সামিনা ফেরদৌস তিন্না শনিবার বিকেলে মুঠোফোনে জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর হেতেমখাঁ কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
বগুড়ার শেরপুরে ২৯ আগস্ট (সোমবার) নিহত হন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার এনামুল হকের ছেলে খালিদ হাসান ওরফে বদর মামা (৩০) এবং রাজশাহী নগরের পাঠানপাড়ার মৃত গোলাম সবুর ওরফে বাবলার ছেলে ইব্রাহীম গোলাম তারেক ওরফে রিপন (২৫)।
পুলিশের দাবি, খালিদ হাসান জেএমবির উত্তরাঞ্চলের সামরিক শাখার প্রধান, যিনি দিনাজপুরে ইতালির নাগরিক পিয়েরো পারোলারি হত্যাচেষ্টা এবং কান্তজিউ মন্দিরে হামলা মামলার ঘটনায় জড়িত।
অন্যদিকে রিপন ছিলেন নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার রাজশাহী’র মাস্টারমাইন্ড। এছাড়া তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হোতা। ড. সিদ্দিকীকে হত্যার পরিকল্পনা এই রিপনের বাড়িতে বসেই করা হয়। গত ২৩ এপ্রিল ভোরে জঙ্গিরা তার বাড়ি থেকে বের হয়েই নগরীর শালবাগান এলাকায় ড. সিদ্দিকীকে তার বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যা করে।
বিবার্তা/রিমন/নাজিম