নোংরা, আর্বজনা, বাসী ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নীলফামারীর ডোমারের বেশিরভাগ হোটেলে খাবার তৈরি হচ্ছে। রান্নার যেমন পরিবেশ নেই হোটেলগুলোতে তেমনি নেই খাওয়ারও পরিবেশ। অথচ নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা এসব খাবারই খেতে হচ্ছে দূরদূরান্ত থেকে আসা লোকদেরকে।
ডোমার শহরের অন্যতম ভাতের হোটেল ভাবীর হোটেল। এই হোটেলে দূর থেকে আসা মানুষ যেমন খাবার খায়, তেমনি বিভিন্ন অফিসেও প্যাকেটজাত করে খাবার সরবরাহ করা হয়।
তবে কয়েকদিনের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভাবীর হোটেলে নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি করা হয়। হোটেলের পেছনে যেখানে মানুষ হাত, খাবারের প্লেট, গ্লাস ধোয়া হয় এবং খাবার তৈরির কাচাঁমাল পরিষ্কার করা হয় সেই জায়গার স্লিপারের উপরে কাটা হচ্ছে মাংস ও সবজি। তার পাশেই রয়েছে আবার নর্দমা। আর ওই নর্দমার পিলারে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে তরকারিগুলো।
আরো দেখা যায়, হোটেলে যেসব খাবার পরিবেশন করা হয় তা অত্যন্ত নিম্নমানের। তাছাড়া বাসী খাবার ফ্রিজে রেখে পরদিন গরম করে তা টাটকা খাবার হিসেবে পরিবেশন করা হচ্ছে। শুধু ভাবীর হোটেলেই না ডোমারের বেশিরভাগ হোটেলেই এরকম চিত্র দেখা গেছে।
আখতারুল নামে একজন জানান, এসব নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি করে তারা আমাদের খাওয়াচ্ছেন। এগুলো দেখভালের জন্য সরকারের আলাদা বিভাগ থাকলেও তারা কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখছে না। আর এসব খাবার খেয়ে সাধারণ মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে স্যানিটারি ইনস্পেক্টর দুলাল হোসেন বলেন, গত ১ সেপ্টম্বর ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়েছিল। এবারো বসানো হবে। তিনি বলেন, এমন পরিবেশে খাবার পরিবেশন অপরাধের শামিল।
বিবার্তা/সুমন/নিশি