ভারীবর্ষণ ও ভারতের গজলডোবার সব গেট খুলে দেয়ায় তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ করে বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা চর এলাকায় নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে। তিস্তা নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে নতুন করে জেলার প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
শনিবার ভোররাত থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তিস্তা নদীর পানি ব্যারাজ এলাকায় বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাতে আরও পানি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন পাউবো কর্তৃপক্ষ। তিস্তা ব্যারাজের উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ স্লুইস গেট খুলে দেয়া হয়েছে।
শনিবার দুপুরে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বিবার্তা প্রতিনিধিকে জানান, দুপুর ১ টার দিকে তিস্তা ব্যারাজের পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে তিনি নিশ্চত করেছেন।
তিস্তার নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, চর নিজ শেখ সুন্দর, পার শেখ সুন্দর,বাঘের চর, চর ঠাংঝাড়া, গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয় আনী, সিংঙ্গীমারী, চর ধুবনী, সিন্দুর্ণা ,হলদীবাড়া, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় নতুন করে দেখা দিয়েছে বন্যা। বন্যার কারণে যাতায়াতের রাস্তা ও ব্রীজগুলো ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে সানিয়াজান ইউনিয়নের চর এলাকায় পানিবন্দি কয়েকটি গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছে।
গড্ডিমারী ইউনিয়নে ছয়আনী গ্রামের নজরুল ইসলাম জানান, তিস্তার পানি হঠাৎ বৃদ্ধির ফলে ২ দিন ধরে পরিবারগুলো পানিবন্দি হয়েছে পড়ছে। অথচ এখনও সরকারীভাবে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।
গড্ডিমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান জানান, গড্ডিমারী ইউনিয়নে গত দুই দিন ধরে নতুন করে তিস্তার পানি প্রবেশ করে প্রায় কয়েক হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়ছে।
সানিয়াজান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, এই ইউনিয়নে কয়েকটি গ্রামে নতুন করে দেখা দিয়েছে বন্যা। অনেক পরিবার ঘরবাড়ি আবার নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যার্ত পরিবারগুলোর সাহায্যের জন্য উপজেলা প্রশাসনের নিকট আবেদন করেছি।
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প ও বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পি,আই,ও) ফেরদৌস আলম বিবার্তা প্রতিনিধিকে জানান, তিস্তা চর এলাকায় পানিবন্দি পরিবারগুলোর খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। বন্যার্ত পরিবারগুলোর ত্রাণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে ইতিমধ্যে আবেদন করা হয়েছে।
বিবার্তা/জিন্না/জিয়া