নাটোর শহরের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে জেলা প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
রবিবার রাত সাড়ে ১১টার সময় নাটোর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানান সংগঠনের নেতারা।
এর আগে জেলা প্রশাসক খলিলুর রহমানের সঙ্গে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বৈঠক করে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ব্যবসায়ীরা এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
নাটোর জেলা প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব আব্দুল আওয়াল রাজা জানান, ওই বৈঠকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যারা জেলার বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করবেন।
এছাড়া যাদের নুন্যতম যোগ্যতা নেই সে ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়ার সুপারিশ করবে। একইসঙ্গে ব্যবসায়ীদের অন্যায়ভাবে হয়রানি করা হবে না বলেও জেলা প্রশাসক আশ্বস্ত করেন। এতে তারা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।
নাটোরের জেলা প্রশাসক খলিলুর রহমান বলেন, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের নিয়মতান্ত্রিক সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষ যেন প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা পায় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মালিকদের বলা হয়েছে।
এর আগে শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহরের হরিশপুর এলাকায় একতা ক্লিনিকের মালিক শহিদুল ইসলামকে ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন। এর প্রতিবাদে ওই দিনই রাত ৯টার দিকে নাটোর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন সমিতির নেতারা।
বিবার্তা/নাজিম/লিয়ন