চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর থানার বন্দর টোল রোডের গলিচিপা পাড়ায় কচুরিপানা ভর্তি একটি খাল থেকে শিশু মাহফুজের (০৭) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মাহফুজ প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
হালিশহর থানার ওসি প্রণব চৌধুরী জানান, মাদকাসক্ত আল আমিন (৩৪) নামে এক ব্যক্তি মাহফুজের বাবা মাহাবুবের (৩৫) ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। এর জের ধরে সোমবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মাহফুজকে পাঁচ টাকা দেন আল আমিন। এরপর সাগর দেখানোর কথা বলে নিজের রিকশায় টোল রোডের নির্জন গলিচিপা পাড়ায় নিয়ে যান। সেখানে নিজহাতে শিশুটির গলায় গামছা পেঁচিয়ে খুন করে কচুরিপানার মধ্যে ফেলে দেন। এরপর সাড়ে আটটায় নিজ এলাকায় ফিরে আসেন।
এদিকে মাহফুজকে খুঁজে না পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ আল আমিনকে সন্দেহ করে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এসময় খুনের দায় স্বীকার করে আল আমিন অকপটে স্বীকারোক্তি দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরগঞ্জের নিকলী থানার কারপাশা এলাকার আল আমিন পেশায় রিকশাচালক। তিনি হালিশহর বাসস্ট্যান্ড আজিজ মিয়ার কলোনিতে ভাড়াঘরে সপরিবারে থাকতেন। অন্যদিকে রাজমিস্ত্রি মাহবুব স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে হালিশহরের পূর্ব সুন্দরীপাড়ার রফিকের বাসায় ভাড়া থাকতেন। আল আমিন সন্দেহ করত তার স্ত্রীর সঙ্গে মাহাবুবের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এ ছাড়া মাহাবুব আল আমিনের কাছে সাড়ে তিন হাজার টাকা পাওনা ছিল। পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে মাহাবুব আল আমিনকে ২০ দিন আগে মারধর করেছিলেন।
শিশু খুনের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ওসি।
বিবার্তা/ইডি/ইফতি