বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে তপতী পোদ্দার (৩৫) নামে এক চিকিৎসক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
বুধবার সকালে মোড়েলগঞ্জ পৌর বাজারের বাবার বাড়ির চিলেকোঠায় তিনি আত্মহত্যা করেন। তপতী পোদ্দার স্থানীয় সুনিল কুমার পোদ্দারের মেয়ে ও কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার দাসের স্ত্রী। তাদের জয়িতা দাস নামে একটি মেয়ে রয়েছে।
ডা. তপতী বাগেরহাট সদর হাসপাতালের ম্যাটারনাল নিউনেটাল হেলথ (এমএনএইচ) প্রকল্পে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর এমএনএইচ প্রকল্প শেষ হয়।
মৃত তপতীর স্বামী কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার দাসের ব্যক্তিগত সহকারী শরীফ তুহিন মাহমুদ জানান, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সরকারের এমএনএইচ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে চাকরি হারিয়ে তপতী বেশ বিপর্যস্ত ছিলেন। তর অস্বাভাবিক আচরণের জন্য স্বামী তাপস দাস তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জনু শামছুন্নাহারের কাছে চিকিৎসা দিতে নিয়ে যান। সাত মাস ধরে তার চিকিৎসা চলে। গত ১৮ আগস্ট তিনি ঢাকা থেকে চিকিৎসা শেষে ফিরে বাবার বাড়িতে ছিলেন।
বুধবার সকালে বাড়ির তিনতলার ছাদের চিলেকোঠায় গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
মোড়েলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) তারক বিশ্বাস জানান, মৃতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই তপতীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
বিবার্তা/রাজু/নাজিম