ময়মনসিংহের কলসিন্দুরের মেয়ে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইপর্বের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য তাসলিমার বাবা সবুজ মিয়াকে (৪০) মারধর করা হয়েছে। বুধবার রাতে জেলার ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর বাজারের মহিলা মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। কলসিন্দুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চার শিক্ষক জুবেদ তালুকদার ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে তাসলিমার বাবা সবুজ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার বিকেলে কলসিন্দুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চার শিক্ষক জুবেদ তালুকদার অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দলের নয় খেলোয়াড় ও তাঁদের অভিভাবকদের নিয়ে সভা করেন। সভায় জুবেদ তালুকদার ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় সংবর্ধনায় যেতে মানা করেন খেলোয়াড়দের। তিনি তাঁদের স্কুল টিমের হয়ে খেলতে বলেন।
এতে উপস্থিত অভিভাবক ও খেলোয়াড়রা অপারগতা জানালে জুবেদ ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে রাত ৯টায় কলসিন্দুর বাজার মহিলা মার্কেটে জুবেদ তালুকদার ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে (সবুজ) কিল-ঘুষি মারেন এবং লাঠিপেটা করেন। ওই সময় তাঁকে হত্যারও হুমকি দেয়া হয়।
তাসলিমার বাবাকে মারধরের ঘটনায় খেলোয়াড় ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাসলিমা বলেন, ‘আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং বিচার দাবি করি।’
ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আক্কাছ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ধোবাউড়া থানার ওসি শওকত আলম বলেন, উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তবে অভিযুক্ত কাউকেই সেখানে পাওয়া যায়নি।
জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওমর হায়াত খান নঈম কলসিন্দুরের ফুটবলার তাসলিমার বাবাকে মারধরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কোনো খেলোয়াড়কে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে খেলতে বলপ্রয়োগ, মানসিক চাপ সৃষ্টি ও তার অভিভাবককে মারধর করায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার হওয়া উচিত।
বিবার্তা/আনোয়ার/জিয়া