‘উৎকোচ দিলে উপবৃত্তি মেলে’

‘উৎকোচ দিলে উপবৃত্তি মেলে’
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ২১:০৯:৪০
‘উৎকোচ দিলে উপবৃত্তি মেলে’
মোড়েলগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম জিউধরা ২৮৬নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। 
 
বৃহস্পতিবার সকালে সামাজিক মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি মো. মাহাতাব খান এ অভিযোগ করেন। 
 
শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া লিখিত অভিযোগে বলা হয়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সামাজিক মূল্যায়ন কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া রেজুলেশনের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। বিগত দুই বছরের প্রাক ও শ্লিপের ৮০হাজার টাকার কোন কাজ না করে প্রধান শিক্ষিকা নিজেই হাতিয়ে নিয়েছেন। 
 
অভিযোগে আরো বলা হয়, প্রধান শিক্ষিকা উপবৃত্তির নতুন কার্ড করতে জনপ্রতি এককালীন ৩শ থেকে ৬শ টাকা উৎকোচ ও প্রতিবারে উপবৃত্তি নিতে ৫০ থেকে ১শ এমনকি ২০টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকেন। টাকা না দিলে উপবৃত্তির টাকা ও কার্ড মিলে না।
 
এছাড়াও জিউধরা গ্রামের আলম মৃধার ছেলে আমিরুননেসা একাডেমির ২য় শ্রেণির ছাত্র জহিরুল ইসলাম অপুর নাম নিজ বিদ্যালয়ের তালিকায় এনে উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন এবং শিক্ষার্থীদের  ভুয়া তালিকা করে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করছেন প্রধান শিক্ষিকা খাজিন্তা আক্তার। 
 
এদিকে, বিদ্যালয়ের ৬/৭জন শিক্ষার্থীর চলতি বছরের উপবৃত্তির টাকা এখনো পায়নি বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। 
 
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, প্রধান শিক্ষিকা খাজিন্তা আক্তার জালিয়াতির মাধ্যমে সহশিক্ষিকা থেকে পদোন্নতি নিয়ে প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে ৫ বছর যাবৎ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সাবেক প্রধান শিক্ষক অমর বাবুর মৃত্যুর ৩মাস ১৩দিন আগে ভুয়া মৃত্যু সনদ দিয়ে পদ শূন্য দেখিয়ে ২০১২ সালের ১৪ মার্চ প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে পদোন্নতি গ্রহণ করেন তিনি।
 
এর আগে, অভিভাবকদের দেয়া অপর এক অভিযোগের ভিত্তিতে ১৭ আগস্ট শিক্ষা অফিসের একটি তদন্ত টিম বিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে প্রধান শিক্ষিকা খাজিন্তা আক্তার উপবৃত্তির আত্মসাৎকৃত টাকা তদন্ত টিমের কাছে ফেরত দিতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সুবীর কুমার। 
 
প্রধান শিক্ষিকা খাজিন্তা আক্তার তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পদোন্নতি নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।
 
শিক্ষা কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 
বিবার্তা/রাজু/নাজিম
সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

৪৬, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ

কারওয়ান বাজার (২য় তলা), ঢাকা-১২১৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১১৯২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com