ঘরমুখো মানুষের চাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা সেতু থেকে মেঘনা-গোমতী সেতু (দাউদকান্দি) পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ঈদের ছুটি কাটাতে শুক্রবার ভোর থেকে ঘরমুখো মানুষ ছুটতে শুরু করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এদিকে দাউদকান্দি টোলপ্লাজা থেকে শুরু হয়ে গৌরীপুর পেন্নাই এলাকা পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সড়কে গাড়ি চলছে ধীরগতিতে। গৌরীপুর তিন রাস্তারমোড়, ইলিয়টগঞ্জ, চান্দিনা, পদুয়ার বাজার এলাকাতেও যানবাহনের চাপে মাঝে মধ্যেম বিচ্ছিন্ন জট তৈরি হচ্ছে।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সার্জেন্ট মো. কামারুজ্জামান রাজ জানান, মেঘনা সেতু থেকে মেঘনা গোমতী সেতু (দাউদকান্দি) পর্যন্ত গজারিয়া অংশের পুরোটা, অর্থাৎ প্রায় ১৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজট রয়েছে।
কামরুজ্জামান রাজ বলেন, অতিরিক্ত গাড়ির চাপের কারণে বিশেষত পন্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণেই যানযটের সৃষ্টি। হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশ মিলে যানজট নিরসনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। রাস্তায় যানবাহনের এ চাপ আরো ২-১দিন থাকতে পারে বলে জানান তিনি
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ওসি আবদুল আউয়াল জানান, যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি সড়কে পণ্য ও কোরবানীর পশুবাহী যানবাহনের চাপ রয়েছে। ফলে যেখানে জট নেই, সেখানেও গাড়ি দ্রুত এগোতে পারছে না। দাউদকান্দি টোলপ্লাজা, গৌরীপুর তিন রাস্তারমোড়, ইলিয়টগঞ্জ, চান্দিনা ও পদুয়ার বাজার এলাকায় যানবাহনের চাপ সবচেয়ে বেশি বলে জানান তিনি।
যানজটের কারণ জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘মেঘনা সেতুর একদিক ছেড়ে অন্য দিক বন্ধ রাখা হলে যানবাহনের জট বাঁধে। তাছাড়া টোলপাল্লাজায় কোনো গাড়ির খানিকটা দেরি হলেই কয়েকশ গাড়ি জমে যায়।’
মহাসড়কের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গৌরীপুর, বারপাড়া, শহীদনগর, হাসানপুর, বিশ্বরোড, বলদাখাল, টোলপ্লাজা ও দাউদকান্দি সেতুতে হাইওয়ে ও থানা পুলিশ কাজ করছে বলে জানান কুমিল্লার পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন।
বিবার্তা/জুয়েল/নিশি