বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সাগরিকা গরু বাজারের প্রধান গেটের একটু আগে ইউনুস মিয়ার গরুর মার্কেটে ১৫ থেকে ২০ জন মানুষের জটলা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লেগেই থাকে। দর্শনার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্র ‘বাদশা’ কে ঘিরে। তার একটা ছবি তুলতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে কৌতূহলী দর্শনার্থীরা। ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডে চার বছর লালন পালনের পর এই কোরবানে বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয়েছে বাদশাকে।
দর্শনার্থীরা জানান, বাদশার প্রতি এমন আগ্রহের কারণ বিশাল আকারের গরুটির দাম। বিক্রেতা বকুল মিয়া গরুটির দাম হেঁকেছেন ১৫ লাখ টাকা। কয়েক দিন আগে এর দাম হাঁকা হয়েছিল ২৫ লাখ টাকা। চলতি মাসের ১ তারিখ ঝিনাইদহ থেকে গরুটি নিয়ে আসা হয় সাগরিকা বাজারে। শুধু বাদশা না সম্রাটসহ মোট পাঁচটি বিশাল আকারের গরু হাটে নিয়ে এসেছেন বকুল মিয়া। সম্রাটের দাম হাঁকা হয়েছে ১২ লাখ টাকা। এটি অস্ট্রেলিয় জাতের। বাকি তিনটি গরু ৫, ১০ ও ১২ লাখ টাকা দাম চাচ্ছেন তিনি।
বকুল মিয়া জানান, বাদশার বয়স এখন চার বছর। পাকিস্তানের শাহী ওয়াল জাতের গরু এটি। ছয় মাস বয়সে বাছুরটি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সংগ্রহ করেন তিনি। বিশাল আকারের এই গরুটিতে প্রায় ২৫ মণ মাংস হবে বলে দাবি করেন বকুল মিয়া।
তিনি বলেন, গরুটির লালনপালন করতে প্রতিদিন ৫শ’ টাকা খরচ হয়। কুড়া, ভূষি গরুটির প্রধান খাবার। মোটাতাজা করতে কোন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়নি। তাঁর দাবি, এখন পর্যন্ত ছয় লাখ টাকা দাম উঠেছে বাদশার। গরুটি পালন করতে প্রায় ৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান বকুল মিয়া। তবে গরুটি বিক্রি না হওয়ায় নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সবাই শুধু দেখতে আসছে। কিন্তু ক্রেতা পাচ্ছি না। প্রতিদিন অনেক টাকা খরচ হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত লাভ দূরের কথা পুঁজি তুলতে পারবো কিনা সন্দেহ আছে।
বিবার্তা/জিয়া