পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে সোহাগ মাহমুদ বাপ্পী (২৮) নামের এক প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ।কিশোরগঞ্জ সদর থানার মনিপুরীঘাট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার নূরুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার নূরুল ইসলাম বলেন- সারা দেশে একটি প্রতারক চক্র মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় পুলিশ/র্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজী করছে। আধুনিক প্রযুক্তি বিকাশ ও ডাচ্ বাংলা মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে চাঁদাবাজী করছে এই প্রতারক চক্র। এরই ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন থানার এসআই‘র কাছ থেকে ডিআইজি’র পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করে এই চক্রের সদস্যরা। টাকা না দিলে চাকরির বড় ধরণের ক্ষতি করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। এই কায়দা অবলম্বন করে এসআই আক্রাম হোসেনের কাছ থেকে গত ২২ আগস্ট ২০১৬ ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা আদায় করে এই প্রতারক চক্র। বিষয়টি পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হলে তিনি ডিবির ওসিকে আসামিদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।
এসপি নুরুল ইসলাম আরো বলেন, পরে ডিবির এসআই পরিমল চন্দ্র দাস তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আসামির অবস্থান নির্ণয় করে। আসামিকে ধরার জন্য ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশের একটি বিশেষ দল অভিযান চালায় এবং কিশোরগঞ্জের সদর থানার মনিপুরীঘাট এলাকা থেকে সোহাগ মাহমুদ বাপ্পী(২৮) নামে এক প্রতারককে আটক করে। বাপ্পির বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিনাথ থানার ছোট পারুলিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম মো. সালাউদ্দিন ।
তিনি আরো জানান, গত ৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে সোহাগকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ । ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে আসামি স্বীকার করে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের একটি চক্র এভাবে দীর্ঘ দিন ধরে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মকর্তা/কর্মচারীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে। তারা পুলিশ বা র্যাবের বড় কর্মকর্তার নামে এ কাজ করে আসছে।
বিবার্তা/আনোয়ার/রয়েল