লালমনিরহাটের ৪৭টি পশুর হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একটি গরু কিংবা মহিষের জন্য টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ২শ টাকা। আর ছাগলের টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ১শ টাকা। যা ক্রেতারা পরিশোধ করবে।
কিন্তু হাট ইজারাদার ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকে গরু প্রতি ৩শ থেকে ৪শ টাকা আর ছাগল প্রতি ২শ টাকা টোল নিচ্ছেন। এছাড়াও নছিমন বা ভটভটির মাধ্যমে যে সব ব্যবসায়ীরা গরু ছাগল পরিবহন করছে তারাও চাঁদাবাজির হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। প্রতি ভটভটিবাবদ চাঁদাবাজরা তাদের কাছ থেকে ১শ টাকা করে আদায় করছে।
জেলার রসুলগঞ্জ, বিডিআরহাট, মহিমারঞ্জন, কুষ্টারিরহাট, দুরাকুটিহাট, বড়বাড়ীরহাট, নয়ারহাট, দইখাওয়া, চাপারহাটসহ বেশ কিছু পশুরহাট সরেজমিনে ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
জেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট পাটগ্রাম উপজেলার রসুলগঞ্জ হাটের ইজারাদার সিরাজুল ইসলাম জানান, ঈদ উপলক্ষে সামান্য কিছু টাকা বাড়তি আদায় করা হচ্ছে। তবে সেটা খুব বেশী নয়।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার দুরাকুঠি ও নয়ারহাট ইজারাদার নুরুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত টাকায় হাট ইজারা নেয়ায় ৫০-১০০ টাকা বাড়তি নেয়া হচ্ছে। আর এই বাড়তি টাকার একটা অংশ দিয়ে স্থানীয় লোকজন ও প্রশাসনের অনেককেই ম্যানেজ করতে হয়।
লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর মোহাম্মাদ নাসির উদ্দিন বলেন, ইজারাদাররা মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। তারপরও অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অপরাধী যেই হোক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
বিবার্তা/জিন্না/নাজিম