রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশি হেফাজতে ১৩ মামলার আসামির মোবাইল ফোন ব্যবহারের ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে প্রত্যাহার করে তাদেরকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন, কনস্টেবল মাহমুদুল ইসলাম ও আবদুল কাইয়ুম।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতে খায়ের আলম শনিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রামেক হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী কানু ওরফে সোনাদ্দী ওরফে কান্ডু মিয়া (২৬)। ওই ওয়ার্ডে কনস্টেবল মাহমুদুল ইসলাম ও আবদুল কাইয়ুম নিযুক্ত ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতেই দুর্ধর্ষ এই সন্ত্রাসী হাসপাতালে প্রায়ই মোবাইলে কথা বলতেন। শুক্রবার সকালে বিবার্তা২৪.নেটের প্রতিবেদক সরেজমিনে বিষয়টির সত্যতা পান। এ নিয়ে ওই দিন ‘পুলিশি হেফাজতে দুর্ধর্ষ আসামির হাতে মোবাইল!’ শিরোনামে নিউজ পোর্টালটিতে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদে কান্ডু মিয়ার মোবাইলে কথা বলার ছবিও প্রকাশ করা হয়। এরপরই শনিবার ওই দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হলো।
আরএমপির মুখপাত্র বলেন, অভিযোগ ওঠার পরই ওই দুই পুলিশ সদস্যকে হাসপাতাল থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদেরকে হাসপাতালে আর দায়িত্ব পালন করতে দেয়া হবে না। বিষয়টি এখন তদন্ত করা হচ্ছে। কান্ডু মিয়া মোবাইলে কথা বলার সঙ্গে ওই দুই পুলিশ সদস্যের কোনো রকম সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, আসামি কান্ডু মিয়া গত ৩ সেপ্টেম্বর নওগাঁর নিয়ামতপুরে পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে আহত হন। এ সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার আড়গাড়াহাট পলাশবাড়ি এলাকায়। তার নামে দেশের কয়েকটি থানায় ১৩টি মামলা আছে বলে জানা গেছে।
বিবার্তা/রিমন/নাজিম