যশোরের উপশহর এলাকার পশু হাটের পাশে শনিবার সন্ধ্যার দিকে আসামি আটক করা নিয়ে তুলকালাম ঘটেছে। পুলিশের সোর্স পরিচায়দানকারী ব্যক্তিটি এক আসামিকে হ্যান্ডকাপ পরানোর পর আশেপাশের লোকজন ওই সোর্সকে গণপিটুনি দেয়।
যদিও পুলিশের দাবি, আটক আসামি ছিনিয়ে নেয়ার সময় স্থানীয় লোকজনের সাথে হাতাহাতি হয়েছে। এ সময় ৫জনকে আটক করা হয়েছে।
আটক ৫ যুবক হলো- উপশহর ‘এ’ ব্লকের সিরাজুল ইসলামের ছেলে সেলিম হোসেন (২৮), ‘সি’ ব্লকের দাউদ খন্দকারের ছেলে রুবেল হোসেন (২৫), ‘এ’ ব্লকের সিরাজুল ইসলামের ছেলে সজিব হোসেন (২৪), ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের শওকত হোসেনের ছেলে বিপুল হোসেন (২৫) ও শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া আমতলা এলাকার বজলুর রহমানের ছেলে আরিফ হোসেন।
এরমধ্যে আটক সজিব উপশহর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য শাপলা খন্দকারের ছেলে।
কোতোয়ালি থানার এএসআই সেলিম হোসেন জানান, শনিবার সন্ধ্যার দিকে শহরের উপশহর পার্কের সামনে থেকে ইয়াবা বিক্রি করার সময় সেলিম হোসেনকে আটক করে পুলিশ। তার কাছ থেকে ১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
এসময় অন্য যুবকরা পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। তারা পুলিশের উপর হামলাও করে। পরে পুলিশ ওই পাঁচজনকে আটক করে থানায় নেয়।
তবে ওই এলাকার বাসিন্দা জেলা ছাত্রলীগের সদস্য আরিফুর রহমান সাগর জানিয়েছেন, শনিবার বিকেলে হাটের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তার বন্ধু আরিফ, রুবেল ও সজিব। সন্ধ্যা ৬টার দিকে দুই যুবক ওই তিনজনের হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে দেয়।
এসময় তিনি সংবাদ পেয়ে সেখানে যান এবং হাতকড়া পরানোর কারণ জানতে চান। তারা সে সময় পুলিশ বলে পরিচয় দেয়। তাদের পরিচয়পত্র দেখাতে বললে দেখাতে পারেনি এবং পরে পুলিশের সোর্স বলে পরিচয় দেয়।
এ সময় উত্তেজিত জনতা তাদেরকে মারপিট করে। তিনি উত্তেজিতদের থামিয়ে পুলিশের সাথে কথা বলেন। পরে পুলিশের একাধিক সদস্য সেখানে গিয়ে ৫ জনকে আটক করে থানায় নেয়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে এএসআই সেলিম হোসেন বলেন, তিনিসহ ৪ জন সেখানে যান সাদা পোশাকে আসামি ধরার জন্য। সেখানকার লোকজন পুলিশ বলে তাদের চিনতে পারেনি। মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নেয়ার সময় আসামি সেলিমকে তারা নামানোর চেষ্টা করে। কারণ সেলিম ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রেতা। তার কাছে ১০ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে। সেখানে কোনো সোর্স ছিল না। পুলিশের উপর হামলা করার অভিযোগে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
বিবার্তা/তুহিন/কাফী