নীলফামারীর ছয় উপজেলা, ৪ পৌরসভা ও ৬০টি ইউনিয়নের গ্রামগঞ্জে মঙ্গলবার পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হচ্ছে। মাঠে-ময়দানে ও মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিটি ঈদগাঁ মাঠে পুলিশ ও র্যাবের কঠোর নজরকারি ছিল। এ জেলার ওই সব এলাকায় সাড়ে ৬০০ ঈদের জামাতে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেছেন বলে জানা যায়।
সকাল সোয়া ৮টায় নীলফামারী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের প্রধান নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। হাজার হাজার মুসল্লি অংশ নেন এই জামাতে। নীলফামারী বড় মসজিদের খতিব মাওলানা মো. আশরাফুল হক এতে ইমামতি করেন।
এর আগে সকাল ৮টায় পুলিশ লাইন্স ঈদগাহে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে আটটায় সার্কিট হাউস ঈদগাহ, কুখাপাড়া ধনীপাড়া ঈদগাহ, বাড়াইপাড়া নতুন জামে মসজিদ, জোরদরগাঁ ঈদগাহ ও মুন্সীপাড়া আহলে হাদিছ ঈদগাহে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।
অপর দিকে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় জেলা শহরের গাছবাড়ি পঞ্চপুকুর ঈদগাঁ ও কলেজ স্টেশন ঈদগাহে।
জেলার সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নে সবদীগঞ্জ ঈদগাহে। এখানে প্রায় ৬৫ হাজার মুসল্লি এক সাথে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
ঈদের মোনাজাতে দেশ ও জাতির উন্নয়ন-অগ্রগতি কামনা করা হয়। সেই সাথে ইসলামের অপব্যাখা দিয়ে জঙ্গি সৃস্টি করে যারা মানুষ হত্যা করছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানানো হয়।
ঈদুল আযহা উপলক্ষে জেলা কারাগার, হাসপাতাল, এতিমখানা এবং ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
বিবার্তা/সুমন/কাফী