রাজশাহী মহানগরীতে শাহরিয়ার আলম কাব্য নামে সাত বছরের এক শিশু সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন মা। নগরীর বুধপাড়া এলাকায় শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর মা তসলিমা বেগমকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। কাব্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মডেল স্কুলের শিশু শ্রেণির ছাত্র।
নিহত শিশু কাব্যের লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, নিহত কাব্যের বাবা রফিকুল ইসলাম মেহেরচ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার একটি ওষুধের দোকানও আছে। ঈদের ছুটিতে কাব্য নগরীর সাধুর মোড় এলাকায় তার নানা-নানীর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। শনিবার সন্ধ্যায় কাব্যকে তার বাবা রফিকুল নানার বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন। এরপর ছেলেকে বাড়িতে রেখে তিনি দোকানে যান।
গভীর রাতে বাড়ি ফিরে এসে তিনি ঘর ভেতর থেকে বন্ধ পান। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় তিনি প্রতিবেশি কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন। পরে ঘরের ভেতর তারা শিশু কাব্যর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। এসময় মা তসলিমা বেগমও আহত অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিলেন।
মতিহার থানার ওসি হুমায়ন কবির জানান, নিহত কাব্যর মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। মা তসলিমা বেগমের মাথাতেও ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, শিশু সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার পর মা তসলিমা বেগমও আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলেন।
ওসি আরও জানান, তসলিমাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থল থেকে একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। আর কাব্যর লাশ রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
বিবার্তা/রিমন/প্লাবন