স্বেচ্ছাশ্রমে যশোরের অভয়নগর উপজেলার আমডাঙ্গা খালের প্রতিবন্ধকতা ও পলি অপসারণ করা হয়েছে। তবে এ কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জলাবদ্ধ ভবদহ এলাকা থেকে দ্রুত পানি সরানো, অবিলম্বে বিল কপালিয়ায় টিআরএম প্রকল্প চালু, ভবদহের স্থায়ী সমাধানসহ আমডাঙ্গা খাল সংস্কারের দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করে আসলেও প্রশাসন কোনো উদ্যোগে না নেয়ায় শতশত পানিবন্দি মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে আমডাঙ্গা খালের পলি অপসারণের কাজ রবিবার শুরু করেন।
ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে বেলা ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে শতাধিক পানিবন্দি মানুষ আমডাঙ্গা খালের পলি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণের কাজ করেন। তবে দুপুর ১টার পর আমডাঙ্গা গ্রামে মজুমদার অটো রাইচ মিলের সামনে খালের প্রতিবন্ধকতা ও পলি অপসারণ করতে গেলে বাধা দেয়া হয়।
পরে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন মিয়া, পিআইও রিজিবুল ইসলাম ও পুলিশের উপস্থিতিতে খাল পাড়ের বসবাসকারীদের ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসের পর খালের কিছু অংশের প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করা হয়।
বিকেলে আমডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্বেচ্ছাশ্রমে বাধা দানের প্রতিবাদ জানিয়ে সমাবেশ ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রনজিৎ বাওয়ালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য দেন, সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও যশোর জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ইকবাল কবির জাহিদ, প্রধান সমন্বয়ক বৈকুন্ঠ বিহারী রায়, ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব চৈতন্য কুমার পাল, কমিটির নেতা জাকির হোসেন, দেবদত্ত মল্লিক, তারক বিশ্বাস, নারী নেত্রী অরুনা চৌধুরী, আমিনা ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা তাদের কাজে বাধা দানের নিন্দা জানিয়ে, দ্রুত পলি অপসরণের জন্য আরো চারটি স্কেভেটর, ভবদহের স্থায়ী সমাধান, বিল কপালিয়ায় টিআরএম প্রকল্প চালু, আমডাঙ্গা খালের সাথে মুক্তেশ্বরী নদীর সংযোগ এবং ভবদহকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানান।
বিবার্তা/তুহিন/কাফী