যশোর শহরের বারান্দী মোল্লাপাড়া এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুরের আক্রমণে ১২ জন জখম হয়েছেন। রবিবার দুপুর থেকে হঠাৎ বারান্দী লিচুতলা থেকে মোল্লাপাড়া কবরস্থান পর্যন্ত ৫/৬টি কুকুর পথচারীদের আক্রমণ শুরু করে।
আহতরা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং পৌরসভা থেকে জ্বলাতঙ্ক প্রতিরোধ ভ্যাকসিন নিয়েছেন।
এদিকে কুকুরের আক্রমণের সংবাদ শোনার পর ওই এলাকায় কুকুর আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা ৫টি কুকুর হত্যা করেছে। বিষয়টি নিয়ে কী করা যায় সেই প্রশ্নে এলাকার লোকজন সভাও করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার দুপুর ১টার দিকে লিচুতলা এলাকায় হঠাৎ একদল কুকুর পথচারীদের আক্রমণ করে। এরপর তারা কবরস্থান পর্যন্ত চলে এসে একে একে ১২ জনকে কামড় দেয়।
ওই এলাকার নুরজাহান বেগম (৬০) জানিয়েছেন, রাস্তা পার হওয়ার সময় হঠাৎ একটি কুকুর তাকে কামড়ে দেয়। চিৎকার করলে আশেপাশের রোকজন এগিয়ে আসে। কিন্তু ৫/৬টি কুকুর এক সাথে তাকে কামড়িয়ে সামনের দিকে চলে যায়। তিনি ২৫০ শয্যা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। পরে পৌরসভায় গিয়ে ইনজেকশন নিয়েছেন।
এক সপ্তাহ পর ফের তাকে আরো একটি ইনজেকশন নিতে হবে। এই ভাবে ৬টি ইনজেকশন নিতে হবে।
নুরজাহানের মতো ওই এলাকার হাবলু, জয়, সাইফুল ইসলাম, নাঈম হাসেন, মিষ্টি, কিশোর, মিজানুর রহমান, পেটু, শেফালী বেগম, সেতুর স্ত্রী, মিজুর মা নামে বেশ কয়েকজন কুকুরের কামড়ে জখম হয়েছেন।
এ বিষয়ে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আহমেদ শাকিল বলেন, কুকুরে কামড়িয়েছে বেশ কয়েকজনকে। অনেকে পৌরসভা থেকে ওধুষ নিয়েছেন। কুকুর নিধন করা যাচ্ছে না কেন ? এই প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, বছর খানেক আগে হাইকোর্ট থেকে একটি রায় আসে, প্রাণি হত্যা করা যাবে না। তার পর থেকে বন্ধ আছে।
বিবার্তা/তুহিন/কাফী