পিরোজপুরের কাউখালীতে তালাক দেয়া স্ত্রীর মুখমণ্ডলে কেমিকেল দেয়ার চেষ্টা চালায় তার স্বামী আবুল বাশার রাঢ়ী। স্বামীর ঘরে ফিরে যেতে রাজি না হওয়ায় তিনি এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানা যায়।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর এ ঘটনা ঘটলেও এখনও থানায় কোনো মামলা নেয়া হয়নি। মামলা না করতে হুমকি দেন আবুল বাশার। স্ত্রী আফসানা মিমি (৩৫) কাউখালী উপজেলার নাঙ্গুলী গ্রামের আবুল বাশার খানের মেয়ে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বেডে শুয়ে আফসানা মিমি জানান, দেড় যুগ আগে ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় গ্রামের আবুবকর সিদ্দিক রাঢ়ীর ছেলে আবুল বাশার রাঢ়ীর সাথে তার বিয়ে হয়। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। স্বামীর কৃতকর্মে অতিষ্ট হয়ে ২০১৫ সালের ১৯ আগস্ট বাশারকে তালাক দেন।
তিনি বলেন, তালাক দেয়ার পর থেকে বাশার রাঢ়ী মিমিকে ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু মিমি কোনো অবস্থাতেই তার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে ঢাকায় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি নিয়ে সন্তানদের ভরণ-পোষণ ও লেখাপড়ার ব্যবস্থা করে আসছিলেন। কোরবানির ঈদের ছুটিতে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান তিনি। ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে হঠাৎ বাশার রাঢ়ী মিমির বাবার বাড়িতে ঢুকে বিষাক্ত পাউডার জাতীয় কেমিকেল মিমির চোখ মুখে ছিটিয়ে দেয়। মিমির আর্তচিৎকারে লোকজন ছুটে এলে বাশার পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কাউখালী থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মামলা না নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথে তদন্ত ইন্সপেক্টর ও একজন এসআই’কে ঘটনাস্থলে পাঠাই। কিন্তু অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগ করলেও সেখানে অ্যাসিডের কোনো আলামত পাওয়া যায় নাই। তবে পাউডার জাতীয় কোনো কেমিকেল দেয়া হতে পারে। সেভাবে অভিযোগ লেখার জন্য বলা হয়েছে।
বিবার্তা/বশির/নিশি